হোগলা পাটি ৭০০, খাইট্টার সর্বোচ্চ দাম ৫০০ টাকা

3 months ago 49

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ওইদিন সারাদেশে পশু কোরবানি করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের পশুর হাটগুলোতে চলছে শেষ সময়ের কেনাবেচা। পাশাপাশি কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম হিসেবে কাঠের গুঁড়ি বা খাইট্টা এবং হোগল পাতায় বোনা হোগলা পাটির কদরও বেড়েছে। কোরবানি ঘিরে এসব পণ্যের বাজাও জমে উঠেছে।

রোববার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চিকেন মার্কেটের সামনে ৫-৬ জন ব্যবসায়ীকে খাইট্টা ও হোগলা পাটি বিক্রি করতে দেখা যায়। আকার ভেদে প্রতিটি পাটি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা ও আর প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়।

হোগলা পাটি ৭০০, খাইট্টার সর্বোচ্চ দাম ৫০০ টাকা

এদিন দুপুরের পর থেকেই কোরবানির মাংস প্রস্তুতের এসব সরঞ্জাম বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। সন্ধ্যার পর মূল বেচাকেনা হবে বলেও আশা তাদের।

আরও পড়ুন

ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার এসব জিনিসের দাম বেড়েছে। প্রতিটি কাঠের গুঁড়ি বা হোগলা পাতার পাটিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে একটি দোকানের কর্মচারী মোক্তার হোসেন। ঈদের আগে চিকেন মার্কেটের সামনে কোরবানির পশুর খাবার খড়, ভুসি, ঘাস বিক্রি করেন। তবে ঈদের আগের দিন সকাল থেকেই গাছের গুঁড়ি ও পাটি বিক্রি করছেন তিনি। গত ৬-৭ বছর ধরে একই কাজ করে আসছেন।

মোক্তার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন দাম একরকম আছে। সন্ধ্যার পর সেটা বেড়ে যাবে। তখন ৩০০ টাকার গুঁড়ি ৩৫০-৪০০ টাকা হয়ে যাবে। তবে ক্রেতার চাপের ওপর দাম নির্ভর করবে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি সদরঘাট থেকে আর হোগলা পাতার পাটিগুলো তারা নিয়ে আসেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে। এবার কোরবানি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই রাতে বেচাকেনা আরও বাড়তে পারে।

হোগলা পাটি ৭০০, খাইট্টার সর্বোচ্চ দাম ৫০০ টাকা

গত বছরের তুলনায় এসব পণ্যের দাম এবার বাড়ার কথা জানিয়ে এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতিটি কাঠের গুঁড়িতে ১০০-১৫০ টাকা আর পাটিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। গত বছর ঈদের আগের দিন বৃষ্টি ছিল, তাই মানুষ এসব পণ্য কম কিনেছে। সব জিনিসেরই তো দাম বাড়তি, পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই এবার দাম একটু বেশি।

আরও পড়ুন

মাঝারি আকারের একটি পাটি খুঁজছিলেন গ্রিন রোড থেকে আসা রিয়াজুল। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মাঝারি আকারের একটি পাটি ৪০০ টাকা দাম বলছে। অথচ গতবার এ রকম পাটি কিনেছি ১০০ টাকায়। সবকিছুর দাম বাড়ার অজুহাতে তারাও বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছে।

মাসুদ হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, বিগত বছরগুলোতে ঈদের দুদিন আগেই বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠে। এবারের বাজার জমেছে ঈদের আগের দিন। শতাধিক কাঠের গুঁড়ি ও পাটি এনেছি। আশা করছি, রাতের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাবে।

এসএম/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article