টঙ্গীতে হ্যান্ডকাফসহ পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে এক আসামি। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম শান্ত। সে কেরানীরটেক বস্তি এলাকার আলালের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তি এলাকায় ছিনতাই করা একটি মোবাইলফোন উদ্ধারে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় বস্তির একটি ঘর থেকে হৃদয় (১৬) ও শান্ত (১৭) নামের দুই কিশোরকে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করে হ্যান্ডকাফ পরায় পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় বস্তির বাসিন্দা কুলসুমের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী। সেই সুযোগে আটক শান্ত হ্যান্ডকাফসহ ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে খোঁজাখুজি করেও শান্তর আর হদিস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই বস্তির কারিমা নামের এক নারী পুলিশের খোয়া যাওয়া হ্যান্ডকাফটি ফেরত দিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান, একটি মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় নামে একজনকে আটক করতে আমরা সেখানে যাই। সেখানে হৃদয়ের ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় শান্ত নামের অন্য একজনকে পাওয়া যায়। এসময় ছিনতাইকারী সন্দেহে তাকেও আটক করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নারী পুলিশের ওপর মব সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে শান্ত জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কারিমা নামে বস্তির এক নারী হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিয়মিত মামলায় আটক হৃদয়সহ তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি শান্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমএআই/এমআইএইচএস