১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর ভোট দিতে না পারার বঞ্চনা দূর হলো: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ উদ্বোধনের মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর ভোট দিতে না পারার বঞ্চনা দূর হলো। এখন থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তারা ভোট দিতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অ্যাপটি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি জানান, বর্তমানে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ প্রবাসে বসবাস ও কর্মরত আছেন। এতদিন প্রবাসীরা ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন। এ উদ্যোগ তাদের ভোটাধিকার বঞ্চনার অবসান করলো। তাদের ভোট দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও বিস্তৃত, আরও প্রতিনিধিত্বশীল হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা কেবল একটি অ্যাপ নয়, এটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। অনুষ্ঠানে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ দেশের ভেতরে এবং বাইরে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দেশের এবং বিদেশে বসবাসরত ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই ইসি এই আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্য
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ উদ্বোধনের মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর ভোট দিতে না পারার বঞ্চনা দূর হলো। এখন থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তারা ভোট দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অ্যাপটি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি জানান, বর্তমানে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ প্রবাসে বসবাস ও কর্মরত আছেন। এতদিন প্রবাসীরা ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন। এ উদ্যোগ তাদের ভোটাধিকার বঞ্চনার অবসান করলো। তাদের ভোট দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও বিস্তৃত, আরও প্রতিনিধিত্বশীল হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা কেবল একটি অ্যাপ নয়, এটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
অনুষ্ঠানে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ দেশের ভেতরে এবং বাইরে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দেশের এবং বিদেশে বসবাসরত ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই ইসি এই আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ভোটদান ব্যবস্থা চালু করেছে। অ্যাপে নিবন্ধন করলে ভোটাররা ডাকযোগে ব্যালট পাবেন এবং ভোট দিয়ে তা ফিরতি ডাকে তাদের রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নয়, এটি বাংলাদেশের সর্বজনীন ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের একটি মাইলফলক।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রবাসীদের নিবন্ধনে আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। প্রথমটি হলো নিবন্ধনের হার। সারাবিশ্বে প্রবাসী ভোটারদের গড় নিবন্ধনের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো ব্যালট নষ্টের হার। বৈশ্বিক হার হলো ২৪ শতাংশ। প্রতি চারটিতে একটি ব্যালট নষ্ট হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার নিরাপত্তা। সারা বিশ্বে দেখা যায়, এ ধরনের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ বছর ট্রায়াল করে দেখা হয়। আমরা ট্রায়াল করেছি এক মাসও হয়নি। তবে আমরা নিশ্চিত করছি এমন কোনো ত্রুটি যেন না থাকে যা ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পুরো ভোটিং প্রক্রিয়া তুলে ধরেন আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন প্রজেক্টের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালীম আহমাদ খান।
প্রবাসীদের নিবন্ধন কবে
সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলে তা চলবে ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলে ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর এবং ইউরোপে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মধ্যপ্রাচ্যে নিবন্ধন চলবে ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে নিবন্ধন করা যাবে ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর। মধ্যপ্রাচ্যে (সৌদি আরব বাদে) ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচনি দায়িত্বের কর্মকর্তা, কয়েদি ও অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটারের দেওয়া ঠিকানায় ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেবেন। ভোটার ভোট দিয়ে তা আবার ফিরতি খামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোট দিতে পারবেন। পোস্টাল ব্যালটে প্রার্থীর নাম নয়, কেবল প্রতীক থাকবে।
এমওএস/একিউএফ
What's Your Reaction?