১ নভেম্বর থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর আগেই যাত্রীদের তথ্য যাচাই শুরু

16 hours ago 6

মালয়েশিয়া পৌঁছানোর আগেই যাত্রীদের তথ্য যাচাই-বাছাই শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। ১ নভেম্বর থেকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার স্ক্রিনিং সিস্টেম (এপিএসএস) নামের এই নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।

প্রথম ধাপে এতে অংশ নিচ্ছে ১০টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস (এমএএস), ভিয়েতনামের ভিয়েতজেট এয়ার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস, সিঙ্গাপুরের স্কুট ও বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে জানান, প্রথম ধাপে নেওয়া এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা যৌথভাবে এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করবে। কার্যকারিতা মূল্যায়নের পর ২০২৬ সালের মার্চ থেকে এটি সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সম্প্রসারিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, এপিএসএস চালুর মাধ্যমে যাত্রীর তথ্য দেশটির প্রবেশপথে পৌঁছানোর আগেই যাচাই করা হবে। এতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এটি জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাসের কার্যক্রম আরও সহজ করা হবে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি-ইন্দোনেশিয়ানসহ গ্রেফতার ৭৯০

তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প মালয়েশিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সংস্কার কার্যক্রমের অংশ, যার মাধ্যমে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রীদের আগেই শনাক্ত করা যাবে।

সাইফুদ্দিন জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিরীক্ষা কর্মসূচি-নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি কৌশল (ইউএসএপি-সিএমএ) মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ প্রকল্পের সূচি ডিসেম্বরের পরিবর্তে অক্টোবরেই এগিয়ে আনা হয়েছে। এই আগাম বাস্তবায়ন প্রমাণ করে যে সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, এই প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ মালয়েশিয়াকে একটি নিরাপদ, আধুনিক ও পর্যটনবান্ধব বিমান পরিবহনকেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবে।

সাইফুদ্দিন জানান, এপিএসএস হলো জাতীয় সমন্বিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর প্রথম ধাপ কেবল আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য চালু হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য হলো যাত্রী তথ্যের আগাম যাচাই ও জাতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করা। এই উদ্যোগ দেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল রূপান্তরের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে এবং জনগণের জন্য নিরাপদ, দক্ষ ও আধুনিক সেবা নিশ্চিত করবে, যা সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার।

আহমাদুল কবির/একিউএফ/এএসএম

Read Entire Article