চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে বিদেশ থেকে আনা পড়ে থাকা ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২১ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথম দিনে ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৭ টাকা ৪৬ পয়সা মূল্যমানের একটি ৪০ ফুটের কমলা ও ৪০ ফুটের ৩টি আদার কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে। ধাপে ধাপে চলতি সপ্তাহেই সবগুলো কনটেইনার ধ্বংস করা হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম দিনে ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ২২০ টাকা ৯৯ পয়সা মূল্যের ৮১ হাজার ১৫০ কেজি ৩টির আদার কনটেইনার এবং ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ১৫৬ টাকা ৪৭ পয়সা মূল্যের ২৭ হাজার ৪৪ কেজি কমলার একটি কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা গেছে, হালিশহরের আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে পচনশীল পণ্যের ৪টি ৪০ ফুটের কনটেইনার খালি করা হয়েছে। কনটেইনারগুলোর পণ্য ডাম্প ইয়ার্ডে ধ্বংস করা হয়েছে। আরও ১৭টি কনটেইনার ধ্বংস করার প্রক্রিয়াধীন। ধাপে ধাপে সেগুলো ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তারা বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন কনটেইনার খালি করার বিষয়ে গুরত্ব দেন। সেই অনুযায়ী ৩০ জন কর্মকর্তার একটি দল বিশেষভাবে নিলাম শাখা ও বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনারগুলো মূল্যায়নে কাজ করেন। এরমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২১টি কনটেইনার ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার দুপুর ৩টার পর থেকে হালিশহরের আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে পচনশীল পণ্যের ৪টি ৪০ ফুটের কনটেইনার খালি করা হয়েছে। কনটেইনারগুলোর পণ্য ডাম্প ইয়ার্ডে ধ্বংস করা হয়েছে। আরও ১৭টি কনটেইনার ধ্বংস প্রক্রিয়ায় আছে। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো ধ্বংস কার্যক্রম শেষ করা হবে।