১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি

লালদিয়া এবং পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া দুই বিদেশি কোম্পানি আগামী ১০ বছরব্যাপী ১০০ শতাংশ করমুক্ত সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তবে এই সুবিধা কোনো নতুন প্রণোদনা নয়, এটি সরকারের আগের আদেশ অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পরশু আমরা লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দরের দুটি চুক্তি সই করেছি। এসব চুক্তির অংশ হিসেবে আমরা কোম্পানিগুলোকে ১০ বছরের জন্য ১০০% করমুক্ত সুবিধা দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কর্মরত বিদেশি টেকনিক্যাল স্টাফও করমুক্ত সুবিধা পাবেন। এছাড়া তাদের (কোম্পানিগুলোর) রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ ফি, লভ্যাংশ—সবকিছুই এখন করের আওতামুক্ত।’ সরকারের বিদ্যমান কর প্রণোদনা ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), হাইটেক পার্ক—সবখানেই করছাড়। এমনকি আমাদের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য ঘোষণা করতে পারে। আমি যদি নিজের বাড়ির সামনে একটা শিল্প স্থাপন করি, তাহলেও তারা সেটিকে হাইটেক পার্ক ঘোষণা

১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি
লালদিয়া এবং পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া দুই বিদেশি কোম্পানি আগামী ১০ বছরব্যাপী ১০০ শতাংশ করমুক্ত সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তবে এই সুবিধা কোনো নতুন প্রণোদনা নয়, এটি সরকারের আগের আদেশ অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পরশু আমরা লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দরের দুটি চুক্তি সই করেছি। এসব চুক্তির অংশ হিসেবে আমরা কোম্পানিগুলোকে ১০ বছরের জন্য ১০০% করমুক্ত সুবিধা দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কর্মরত বিদেশি টেকনিক্যাল স্টাফও করমুক্ত সুবিধা পাবেন। এছাড়া তাদের (কোম্পানিগুলোর) রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ ফি, লভ্যাংশ—সবকিছুই এখন করের আওতামুক্ত।’ সরকারের বিদ্যমান কর প্রণোদনা ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), হাইটেক পার্ক—সবখানেই করছাড়। এমনকি আমাদের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য ঘোষণা করতে পারে। আমি যদি নিজের বাড়ির সামনে একটা শিল্প স্থাপন করি, তাহলেও তারা সেটিকে হাইটেক পার্ক ঘোষণা করে কর ছাড় দিতে পারে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যাদের কর দেওয়ার কথা, তাদের এভাবে নির্বিচারে করমুক্ত সুবিধা দিলে আমরা প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ করব কীভাবে? ২০১৭ সালের বিদ্যমান সরকারি আদেশ (এসআরও) অনুযায়ী, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ১২ ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ১০ বছরের জন্য ১০০% আয়করমুক্ত সুবিধা পায়। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে—জাতীয় মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে ও সংশ্লিষ্ট সার্ভিস রোড; ফ্লাইওভার; এলিভেটেড ও গ্রেড-লেভেল এক্সপ্রেসওয়ে; নদী সেতু; টানেল; রিভার পোর্ট; সি পোর্ট; এয়ারপোর্ট; সাবওয়ে; মনোরেল; রেললাইন; বাস টার্মিনাল; বাস ডিপো; এবং বৃদ্ধাশ্রম। আরেক আদেশে উল্লেখ আছে, এসব প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি টেকনিশিয়ানরা প্রথম তিন বছর আয়ের ওপর ৫০ শতাংশ করমুক্ত সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত গত ১৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কনটেইনার টার্মিনাল—চট্টগ্রামের লালদিয়া ও ঢাকার কাছে পানগাঁও—বিদেশি অপারেটরদের কাছে হস্তান্তরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি প্রধান বন্দর অবকাঠামো দীর্ঘমেয়াদি লিজে বিদেশি কোম্পানির কাছে যাওয়ার প্রথম ঘটনা। ডেনমার্কভিত্তিক এপি মোলার-মায়েরস্কের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস বিএভি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সঙ্গে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি করেছে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য, যা একটি বড় পিপিপি প্রকল্প। পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, কোম্পানিটি প্রথম তিন বছরে নির্মাণ, সরঞ্জাম সাপ্লাই ও সংশ্লিষ্ট কাজে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে। সাইনিং মানি হিসেবে এপিএম টার্মিনালস ২৫০ কোটি টাকা দেবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow