এতদিন দেখে এসেছেন পেট্রোলে চলে মোটরসাইকেল। তবে বিষয়টি কেমন হতো যদি গ্যাসের সাহায্যে এটি চালানো যায়। আদৌ কি এটা সম্ভব! উত্তর- সম্ভব। এমনটাই করে দেখিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কাউসার নামের এক মাদরাসাশিক্ষক। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে এই প্রযুক্তি লাগিয়েছেন তিনি। এতে ১০০ টাকার গ্যাসে ১০০ কিলোমিটার চালানো যাচ্ছে মোটরসাইকেল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের সিসিডিবির মোড়ে অবস্থিত আব্দুল্লাহ আল কাউসারের চাঁপাই এলপিজি বাইক সেন্টার। সেখানে ১৪-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল তেলের পরিবর্তে গ্যাসে চলার উপযোগী করে দিচ্ছেন মাদরাসাশিক্ষক কাউসার।
শিক্ষক কাউসারের আশা, সরকার এটি অনুমোদন দিলে বাণিজ্যিকভাবে তেলের পাশাপাশি গ্যাসচালিত মোটরসাইকেলে রূপান্তর করতে চান তিনি। এতে বাঁচবে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত খরচ।
একটি মোটরসাইকেল তেলের পরিবর্তে গ্যাসে চলার উপযোগী করতে এসেছেন শহরের আজিম আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক লিটার তেলে মোটরসাইকেল যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে, এক লিটার গ্যাসেও সম পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে। তবে পার্থক্য হচ্ছে এক লিটার তেলের দাম ১৩০ টাকা। আর এক লিটার গ্যাসের দাম প্রায় ৬৩ টাকা। এতে লিটারে প্রায় ৭০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম পলাশ বলেন, ‘সারা জীবন শুনে এসেছি পেট্রোলে চলে মোটরসাইকেল। এই প্রথম শুনলাম এখন গ্যাসেও চলছে। তাই দেখতে এসেছি। এসে দেখি ঘটনা সত্য। শুধু আলাদা একটি মেশিন লাগাতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে মাদরাসাশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাউসার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা টান রয়েছে। ৮ মাস আগে টাঙ্গাইল পুরোনো বাসস্টেশন এলাকায় মেসার্স জান্নাত ট্রেডার্সে বিষয়টি প্রথম দেখেছিলাম। পরে সেখান থেকে ধারণা নিয়ে এখন পর্যন্ত সাতটি মোটরসাইকেল গ্যাসে রূপান্তরিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, গাড়িগুলো ভালোই চলছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। চালানোর সময় শুধু তেলের লাইন বন্ধ রাখতে হবে। তবে এই মোটরসাইকেল গ্যাস ও তেল দুটো দিয়েই চালানো যাবে। সরকার এটি বাণিজ্যিকভাবে সড়কে চলাচলের অনুমতি দিলে জ্বালানি তেলে চালিত মোটরসাইকেলগুলো অনেক বাইকার গ্যাসে রূপান্তর করবেন। এতে বিদেশ থেকে তেল আমদানি অনেকটা হ্রাস পাবে।
সোহান মাহমুদ/এসআর/এএসএম