‘১০০ টেস্ট খেলেছি—এখনো বিশ্বাস হয় না’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি এক অনন্য চরিত্র—অনুশীলনের নেশায় নিবেদিত, পরিশ্রমে অবিচল, চাপের মুহূর্তে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য নাম। অথচ মুশফিকুর রহিম নিজেই নাকি এখনো বিশ্বাস করতে পারেন না, তিনি দেশের জার্সিতে খেলেছেন ১০০টি টেস্ট। আর সেই বিশেষ মাইলফলকটি তিনি রাঙিয়েছেন সেঞ্চুরিতে—বিশ্ব ক্রিকেটে যা করেছিলেন মাত্র ১০ জন। মিরপুর টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিকের কণ্ঠেই শুনতে পাওয়া গেল বিস্ময় আর কৃতজ্ঞতার সুর। ‘বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলব—এটা কখনো ভাবিনি,’ বললেন তিনি। ‘স্বপ্নেও ছিল না। তাই নিজের জন্য যেমন বড় অর্জন, দেশের জন্যও তেমনি গর্ব। এখন মনে হচ্ছে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’ দীর্ঘ ফরম্যাটে দেশের তরুণদের প্রতি নিজের প্রত্যাশার কথাও জানালেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ‘চাই আমার পর ড্রেসিংরুমে এমন দুই-একজন থাকুক, যারা এই জায়গাটা ধরে রাখতে পারবে। ১০০ টেস্ট বিশাল পথ—এ পথে হাঁটতে হাঁটতে যা যা শিখেছি, সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’ তিনি আরও জানান, বিসিবির আয়োজন ও সম্মান তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে আগেই বিদায় নেওয়া মুশফিক আবারও জান

‘১০০ টেস্ট খেলেছি—এখনো বিশ্বাস হয় না’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি এক অনন্য চরিত্র—অনুশীলনের নেশায় নিবেদিত, পরিশ্রমে অবিচল, চাপের মুহূর্তে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য নাম। অথচ মুশফিকুর রহিম নিজেই নাকি এখনো বিশ্বাস করতে পারেন না, তিনি দেশের জার্সিতে খেলেছেন ১০০টি টেস্ট। আর সেই বিশেষ মাইলফলকটি তিনি রাঙিয়েছেন সেঞ্চুরিতে—বিশ্ব ক্রিকেটে যা করেছিলেন মাত্র ১০ জন। মিরপুর টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিকের কণ্ঠেই শুনতে পাওয়া গেল বিস্ময় আর কৃতজ্ঞতার সুর। ‘বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলব—এটা কখনো ভাবিনি,’ বললেন তিনি। ‘স্বপ্নেও ছিল না। তাই নিজের জন্য যেমন বড় অর্জন, দেশের জন্যও তেমনি গর্ব। এখন মনে হচ্ছে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’ দীর্ঘ ফরম্যাটে দেশের তরুণদের প্রতি নিজের প্রত্যাশার কথাও জানালেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ‘চাই আমার পর ড্রেসিংরুমে এমন দুই-একজন থাকুক, যারা এই জায়গাটা ধরে রাখতে পারবে। ১০০ টেস্ট বিশাল পথ—এ পথে হাঁটতে হাঁটতে যা যা শিখেছি, সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’ তিনি আরও জানান, বিসিবির আয়োজন ও সম্মান তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে আগেই বিদায় নেওয়া মুশফিক আবারও জানিয়ে দিলেন—টেস্ট ক্রিকেটই তার ‘শেষ ঠিকানা’। ‘যতদিন পারি খেলতে চাই। এই ফরম্যাটের জন্য আলাদা ফিটনেস আর আলাদা প্রস্তুতি লাগে। সিরিজ ধরে, ম্যাচ ধরে দেশের জন্য অবদানই আমার লক্ষ্য। প্রতিটি ইনিংসই নতুন পরীক্ষা।’ মুশফিক বলেন, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি এখনো তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। সেই ইনিংসের পরই নাকি দলের ভেতরে বড় রানের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছিল। পেশাদারত্বের প্রতি তার একনিষ্ঠতা নিয়ে কোনো বিতর্কই নেই। নিজের ভাষায়— আসলে আমি একটু বোরিং মানুষ। একই জিনিস ২০ বছর করেও করতে পারি, যদি জানি এটা আমাকে আর দলকে সাহায্য করে। রান করবো কি না সেটা আমার হাতে নেই, কিন্তু পরিশ্রমটা কতটা করবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ওপর। তিনি জানান, এবারও মাঠে নামার আগেই মনে হয়েছিল যেন প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন—উত্তেজনা, দায়বদ্ধতা সবই ছিল অটুট। ক্যারিয়ারের এতগুলো বছর পরও মুশফিকের একটাই স্বপ্ন—আমি যখন এই দলটা ছেড়ে যাব, চাই বাংলাদেশ টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের অন্তত প্রথম ছয়ের মধ্যে থাকুক। এটা আমার বড় লক্ষ্য। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow