কে হবেন? খালেদ মাহমুদ সুজন, সোহেল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবুল নাকি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন? তা তিনি বলেননি। কারও নাম মুখে আনেননি বিসিবি প্রধান। তবে গতকাল চট্টগ্রামে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে ফারুক আহমেদ পরিষ্কার বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে কারও নাম বলছি না, তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেশের একজন সহকারী কোচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটা নিশ্চিত। তবে এ মুহূর্তে আমি তার নাম বলছি না।’
বিসিবি সভাপতির এমন উক্তিই বলে দেয় বাংলাদেশ জাতীয় দলে একজন দেশি সহকারী কোচ নিয়োগ পাচ্ছেন।
বিসিবি সভাপতির মুখে কারও নাম উচ্চারিত না হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাংলাদেশ জাতীয় দলে একজন স্থানীয় কোচ নিয়োগ পাচ্ছেন। মানে আগামীতে টিম বাংলাদেশের প্রধান সহকারী কোচ হবেন একজন বাংলাদেশি।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন- কে সেই দেশি কোচ?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি আর কেউ নন। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেই প্রধান সহকারী কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে বিসিবি। ভেতরে ভেতরে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত বলেও জানা গেছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনই হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ। তার সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা-বার্তা একরকম চূড়ান্ত।
তবে মোটা অংকের বেতনে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন সালাউদ্দিন। সে অর্থর পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার কম নয়। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সালাউদ্দিনকে ১২ লাখ টাকা মাসিক বেতনে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ করার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত।
যদিও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত কিছুদিন ধরেই সালাউদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা সালাউদ্দিনকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি জানান, তারও ইচ্ছে আছে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার। তবে কিছু পূর্ব শর্ত আছে। তার প্রথম শর্তই হলো বেতন। কারণ বিসিবি বিদেশি কোচদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয়, দেশি কোচদের তার সিকিভাগও দেয় না। কাজেই ধারণা করা হচ্ছিল সালাউদ্দিন কম বেতনে কখনোই জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা (বাড়ি ভাড়া, দেশে ফেরার অন্তত গোটা তিনেক টিকিট, হাত খরচ) সহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক হেড কোচ হাতুরুসিংহের বেতন ছিল প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। সেখানে একজন দেশি কোচকে ৫ লাখ টাকাও দিতে অনীহা ছিল বিসিবির।
ফলে ভাবা হচ্ছিল সালাউদ্দিনের মতো একজন হাই প্রোফাইল ও জনপ্রিয় দেশি কোচকে জাতীয় দলে নিয়োগ দিলে কতইবা বেতন দেবে বিসিবি? বড়জোড় ৩ থেকে ৫ লাখ। সালাউদ্দিন তো বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচিং করিয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ও প্রাইম ব্যাংকের হেড কোচ হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মতো অর্থ পেতেন। ফলে তিনি পাঁচ লাখ টাকায় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে নাম লেখাবেন- এমনটা বিশ্বাস হয়নি অনেকের। কিন্তু এবার সালাউদ্দিনকে যথাযথ মূল্য ও মর্যাদা দিয়েই জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিতে যাচ্ছে বিসিবি। তার মাসিক বেতন ১২ লাখ টাকা হতে পারে। শিগগির তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করবেন।
এআরবি/কেএসআর/জিকেএস