১৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার( ২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে যানজট শুরু হয়। এতে ১৩ ঘণ্টার যানজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই তারাব ব্রিজটি সংস্কারের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলো কাঁচপুর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। এতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে তারাব বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে বরাব পর্যন্ত কিছু কিছু খানাখন্দের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলে। ফলে সকাল ১০টা থেকেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে সড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ছয়-সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। ফলে ১৩ ঘণ্টার যানজটে নাকাল হয়ে পড়েন যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। রাত ১১টার পর ধীরে ধীরে মহাসড়কে

১৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার( ২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে যানজট শুরু হয়। এতে ১৩ ঘণ্টার যানজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই তারাব ব্রিজটি সংস্কারের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলো কাঁচপুর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। এতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে তারাব বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে বরাব পর্যন্ত কিছু কিছু খানাখন্দের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলে। ফলে সকাল ১০টা থেকেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে সড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ছয়-সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। ফলে ১৩ ঘণ্টার যানজটে নাকাল হয়ে পড়েন যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। রাত ১১টার পর ধীরে ধীরে মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

যাত্রী সিফাতুল মারুফ বলেন, সকালে বিশেষ কাজে ঢাকা গিয়েছিলাম। তখনও যানজট দেখেছি। রাত সাড়ে ১০টায় কাচপুর থেকে জ্যামে পড়েছি। দেড় ঘণ্টায় বরপা এসেছি।

আরও পড়ুন:

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট

সিএনজি যাত্রী রোকন মিয়া বলেন, রাত্র সাড়ে ৯টায় ভুলতা থেকে সিএনজিযোগে রওনা দিয়েছি। রুপসি আসতেই ১ ঘণ্টা লেগেছে। এখন দেখছি সড়ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

বাস চালক আব্দুল কায়েম বলেন, সকাল ১০টা থেকেই এই যানজট। সন্ধ্যার পর ধীরে ধীরে ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৩ ঘণ্টা এই যানজটে আমি দুইটা ট্রিপ ধরা খাইছি। এখন সড়ক স্বাভাবিক হইলেও তো আর ট্রিপ মারা যাইবো না।

শিমড়াইল ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, তারাব ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য এ পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে তারাব বিশ্বরোড থেকে বরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা খানাখন্দ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা সময় লাগলেও হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হয়েছে।

নাজমুল হুদা/এমএন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow