১৩ সেনা কর্মকর্তার হাজিরা আজ, ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুনানি হবে আজ। সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় সেনা বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও তৎপর দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার পর ট্রাইব্যুনাল বসতে পারে। ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, এপিবিএনের বিপুলসংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান ও টহল দেখা গেছে। আরও পড়ুন:গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি আছে কি না, যা বললো সেনাসদর১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নেওয়া হলো সেনানিবাসের অস্থায়ী কারাগারে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহ

১৩ সেনা কর্মকর্তার হাজিরা আজ, ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুনানি হবে আজ।

সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় সেনা বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও তৎপর দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার পর ট্রাইব্যুনাল বসতে পারে।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, এপিবিএনের বিপুলসংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান ও টহল দেখা গেছে।

আরও পড়ুন:
গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি আছে কি না, যা বললো সেনাসদর
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নেওয়া হলো সেনানিবাসের অস্থায়ী কারাগারে

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।

আসামিদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তারা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। অন্য আসামিদের মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তারা দেশত্যাগ করেছেন।

এফএইচ/এসএনআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow