সাধারণত হেফজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে ১০ বছর বয়সী আল-হামীম জুবায়ের একটু ব্যতিক্রম, মাত্র ১৪ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে সে; যা রীতিমতো অবাক করেছে তার শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
জানা গেছে, আল-হামীম ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। পরে ১৪ মাসেই তা শেষ করে বিস্ময়কর এই প্রতিভাধারী।
আল-হামীম জুবায়ের শিক্ষকরা জানান, আল-হামীম প্রথমে দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা থেকে সবক দেওয়া শুরু করে। এরপর কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিত।
তারা আরও জানান, সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন রুমে বসেই পড়ত আল-হামীম। যেদিন হাফেজ হয়, সেদিন যথারীতি তাকে পড়তে দেখেন তারা।
বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী এই আল-হামীম জুবায়ের মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে দহপাড়ায় অবস্থিত হাজী আছদ্দর আলী লায়লা বেগম হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দিনমজুর জুয়েল আহমেদের ছেলে।
হাফেজ আল-হামীম জুবায়ের জানায়, ১৪ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরে নিজেও খুশি এবং বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চায় সে।
আল-হামীম জুবায়ের বাবা জুয়েল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, আমি দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। আমার মায়ের (আল-হামীমের দাদি) অনেক আসা ছিল হাফেজ হওয়ার। সেই ইচ্ছা সে পূরণ করেছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ছেলের শিক্ষকদের প্রতি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুল কাদির নান্দাইলী কালবেলাকে বলেন, আল্লাহপাক কবুল করেছেন বলেই মাত্র ১৪ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে আল-হামীম জুবায়ের। এত অল্প সময় কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটি মাদ্রাসার জন্যও গর্বের।