১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব নয় : উপদেষ্টা মাহফুজ

10 hours ago 4

জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, তবে খুব দেরি হবে না, আবার অতি বিলম্বও করা হবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই আলোচনা করা হবে। সরকার ঘোষণাপত্র দেবে না, বরং তারা সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র সম্পাদনা করবে।

তিনি বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব দলের সঙ্গে কথা বলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা দেওয়া হবে।

সংবিধান সংস্কার নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানের প্রশ্নে একটাই করণীয়, তা হলো ঐক্য। রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পর বোঝা যাবে তারা কতটুকু সংস্কার চান।

সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এলেই সংস্কারকাজ শুরু হবে। সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছানো দরকার। ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে একটা সমাধান আসবে।

স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসক দিয়ে সেবা পৌঁছানো কঠিন। জনগণ নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। তাই যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সেবা পৌঁছানো সহজ হবে।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কারগুলো করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরই স্পষ্ট হবে কবে নির্বাচনের তারিখ।

এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়া ২০২৪ সালের শেষ দিন মঙ্গলবার ‘মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি’ ঘোষণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদ মিনারের ওই কর্মসূচি থেকেই ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল। সেই প্রস্তুতি নিয়ে সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, এই ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ হবে ‘আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে এর মাধ্যমে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।

এই কর্মসূচি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে একই ধরনের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে জরুরি বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণা দেয়, অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, তারা তাতেই সমর্থন দেবে।

Read Entire Article