১৭ ইনিংস পর ফিফটি, এখন ডাবল সেঞ্চুরির পথে মাহমুদুল হাসান জয়

2 hours ago 3

ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ছিল হতাশার। প্রথম ইনিংসে শূন্য, পরের ইনিংসে ৬। মিরপুরে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। এক মাস পরই মাউন্ট মঙ্গানুইংয়ে মাহমুদুল হাসান জয় খেললেন ৭৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। যে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে হারিয়েছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

পরের ম্যাচে আরও দারুণ, আরও ঝলমলে ইনিংস খেললেন জয়। ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ২২ বছর বয়সী এই যুবা তখন দারুণ এক সম্ভাবনার ঝলক দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগুতে থাকেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য।

২০২২ এর মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পাড়ি দিয়ে ২০৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেন ৭৬ রানের একটি ইনিংস। মাঝে ৫ মাস বিরতি দিয়ে নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

এরপর কেটে গেলো দুটি বছর। এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস ছাড়াও খেলে ফেললেন ৮টি টেস্ট এবং সব মিলিয়ে ১৭টি ইনিংস; কিন্তু অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে ক্রিকেটাঙ্গনে যে ব্যাটারের যাত্রা শুরু হলো, সে যেন হারিয়ে যেতে থাকলো অতল গহ্বরে। একটি হাফ সেঞ্চুরি নেই, সর্বোচ্চ রান ছিল ৪০।

গত এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে করেছেন ৪৭ রান (১৪+৩৩)। পরের টেস্টে বাদ পড়েন জয়। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও তাকে রাখা হয়নি। এরই মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খেলেন ১২৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৫ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে করেন অপরাজিত ২৫ রান।

জাতীয় লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে আবারও টেস্ট দলে ফিরে আসেন জয়। এসেই বাজিমাত করলেন। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১৭ ইনিংস পর করলেন প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর সেটাকে তিনি নিয়ে গেলেন তিন অংকের ঘরে। ১৯০ বল খেলে করলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

শুধু তাই নয়, মাহমুদুল হাসান জয় এখন নিজের ইনিংসকে আরও বড় মাইলফলকের জায়গায় নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। এরই মধ্যে ২৮৩ বল মোকাবেলা করে খেলে ফেলেছেন ১৬৯ রানের ইনিংস। ১৪টিটি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার রয়েছে তার এই ইনিংসে।

ডাবল সেঞ্চুরি পেতে আর লাগবে ৩১ রান। জয় কী পারবেন, বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করতে? পারবেন মুশফিকুর রহিমের সর্বোচ্চ ২১৯ রানকে টপকে যেতে?

আইএইচএস/

Read Entire Article