১৯ বাংলাদেশি ইয়ুথ লিডারস ডেলিগেটের চীন সফর

3 months ago 31

বাংলাদেশের ১৯ জন ইয়ুথ লিডারস ডেলিগেটের একটি প্রতিনিধি দল চীনে কয়েকটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছে। চীন স্টাডিজ সেন্টার এবং সাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

১০ দিনব্যাপী এই প্রোগ্রামে প্রতিনিধি দল চীনের ইউনান, সাংহাই এবং বেইজিং এই তিনটি শহর পরিদর্শন করেন ও সাতটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

১৯ বাংলাদেশি ইয়ুথ লিডারস ডেলিগেটের চীন সফর

বুধবার (১২ জুন) মতবিনিময় সভা ও পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তিনজন গবেষক এবং তিনজন সাংবাদিক ছিলেন।

১৯ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল চীনের কিছু প্রধান সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। তিয়ানামেন স্কয়ার, জাতীয় জাদুঘর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, চীনা সোং চিং বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি কেন্দ্র ফর ইয়াঙ পিপল, শাংহাই সিটি প্ল্যানিং এক্সিবিশন সেন্টার এবং ৭৯৮ আর্ট জোন এবং ৭৫১ডি পার্ক পরিদর্শন করেছিলেন।

এছাড়াও প্রতিনিধিদল ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট চায়না নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়, টংজি বিশ্ববিদ্যালয়, সাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশের ইয়ুথ লিডারস প্রতিনিধিরা চীন সরকারের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চীনকে বাংলাদেশে অধিক রপ্তানির পরিবর্তে বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে মেধা ও অবকাঠামোতে টেকসই বিনিয়োগ, বাংলাদেশের প্রচুর সম্ভাবনাময় জনসম্পদকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ, বাংলাদেশ থেকে চীনে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিশেষ ও অধিক বৃত্তি এবং খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনে তাদের যোগ্য কাজে লাগানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ সময় চীন সরকারের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ইয়ুথ লিডারস প্রতিনিধিদের দাবিগুলো চীন সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের জানানো ও এগুলো বিবেচনা করে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

১৯ বাংলাদেশি ইয়ুথ লিডারস ডেলিগেটের চীন সফর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং এই প্রতিনিধি দলের প্রধান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এই ভিউ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য টেকসই প্ল্যান তৈরি করতে হয়, কীভাবে পরিবেশবান্ধব শহর তৈরি করতে হয়। এছাড়াও ইতিহাস সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক মূল্য বুঝতে এই প্রোগ্রাম আমাদের সাহায্য করেছে। এছাড়াও সংস্কৃতি ও ইতিহাস সংরক্ষণে এআইকে ব্যবহার করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, চায়না থেকে সরাসরি কোনো প্রোডাক্ট না কিনে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো চাইলে হাইটেক প্রোডাক্ট চীনের কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ওই পণ্যগুলো নিজেরাই উৎপাদন করতে পারে। আমি মনে করি দুটি দেশের মধ্যে দক্ষ মানবসম্পদ এবং মানসম্মত গবেষণা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

এমএইচএ/এমআরএম/জিকেএস

Read Entire Article