২ ফায়ার ফাইটার ১০০ শতাংশ দগ্ধ, পিপিও পুড়ে গেছে: ডিজি

2 hours ago 3

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ফায়ার ফাইটার ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।

ফায়ার ফাইটারদের শরীরে যে পিপি থাকে তার তাপমাত্রা থাকে ৩০০ থেকে ৩২০। কিন্তু এই আগুনে পিপিও পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হন ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন

টঙ্গীতে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের ৪ কর্মী জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে

আহতরা হলেন- ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, মো. শামীম, অফিসার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ও জয় হাসান। তাদের মধ্যে দুজনের ১০০ শতাংশ দগ্ধ আর বাকি দুজনের ৪২ শতাংশ ও ৫ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছেন। দোকানের একজন কর্মচারী তিনিও আহত হয়েছেন, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্নে ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ফায়ার ফাইটারদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগুন নেভানো, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিস্ফোরণ সংগঠিত হওয়ায় তারা দগ্ধ হয়। তারা সবাই পিপি পরিধান করা অবস্থায়। একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছেন সবাই- যেখানে দেখা যাচ্ছে ফায়ার ফাইটাররা বেরিয়ে আসছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে আগুনের তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল। কারণ একটি পিপির তাপমাত্রা থাকে ৩০০ থেকে ৩২০। যে কারণে পিপিসহ পুড়ে গেছে ফায়ার ফাইটাররা।

ফায়ার ফাইটার ও অফিসাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে গিয়ে আমাদের ফায়ার ফাইটারদের ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক হিসেবে সব সময় তাদের পাশে থাকবো এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যামিকেলের আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারা বেশ কয়েকবার পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখে আগুন ছোট এবং ধোঁয়ার পর্যায়ে আছে। তখন ফায়ার ফাইটাররা সিদ্ধান্ত নেয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবে। ঠিক সেই মুহূর্তে আগুনের মধ্য থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন তারা পিছিয়ে না এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে তখন ফের আরেকটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে আসবেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ আছে কি না, থাকলে কীভাবে নেওয়া হবে সবকিছু চিকিৎসকরা বোর্ড মিটিং করে আলোচনা করবেন, যোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। কারণ দেশের প্রয়োজনের তারা এই জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। এটি মোটিভেশনেরও বিষয়।

টিটি/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article