দীর্ঘদিন প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে চুপচাপ ছিলেন জয়া আহসান। সিনেমার প্রচারণায় তিনি যতটা সরব, ব্যক্তিজীবনের প্রশ্নে ততটাই নীরব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নীরবতা ভাঙলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রথমবারের মতো স্বীকার করলেন- হ্যাঁ, তিনি সম্পর্কে আছেন।
কলকাতায় নতুন ছবি ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র প্রচারণায় বসেছিলেন আড্ডায়। সেখানে সঞ্চালকের প্রশ্ন, জীবনে কি বিশেষ কেউ আছেন? জয়া প্রথমে একটু হাসলেন, তারপর স্পষ্ট করেই বললেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। মানুষ তো একা থাকতে পারে না।”
তবে সেই মানুষটির পরিচয় জানাতে নারাজ তিনি। শুধু বললেন, শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। “আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি, বহু বছর… ভালো সঙ্গী হওয়ার আগে যেন ভালো বন্ধু হতে পারি, সেটাই আমাদের কাছে বড় ব্যাপার। আমার অনেক অত্যাচার সহ্য করে সে। আমি এত ঘুরে বেড়াই, কলকাতায় এসে মাসের পর মাস কাজ করি- এসব কিছু নিয়ে সে কোনো আপত্তি করে না।”
জয়ার পছন্দের তালিকায় সঙ্গীর সবচেয়ে বড় গুণ- তার শান্ত স্বভাব। ‘অনেক শান্ত সে’, বলেই হেসে ফেললেন অভিনেত্রী। সঞ্চালকের কথা মেনে নিলেন যে, তিনিও নাকি অনেক শান্ত।
বিয়ের প্রসঙ্গ তুলতেই একটু থামলেন জয়া। ‘এখনই কিছু বলতে পারছি না। খুব তাড়াতাড়ি ইচ্ছা হবে বা আদৌ হবে কিনা জানি না। তবে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার ধারণাকে আমি শ্রদ্ধা করি।’
প্রস্তুত না থাকার কারণ হিসেবে বললেন, “এটা প্রস্তুত হওয়ার বিষয় নয়, আমার ভেতরে একটা ভীতি আছে।” অতীতের সম্পর্কের তিক্ততা যে এই ভয় বাড়িয়ে দিয়েছে, সেটাও খোলাখুলিই জানালেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’, আর কলকাতায় জুলাই-আগস্টে মুক্তি পাওয়া ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’- সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে জয়ার। ব্যস্ততার ফাঁকেই এই ব্যক্তিগত স্বীকারোক্তি ভক্তদের মনে এনে দিল নতুন কৌতূহল- কোন সে মানুষ, যিনি এতদিন ধরে জয়াকে তার মতো থাকতে দিয়েছেন?