বাজারে এখন ২০ টাকা কেজি দরে মিলছে আলু। যা একমাস আগেও ছিল ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে আলুর সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য সবজিতেও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে, দাম কমায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নতুন আলু কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। ৩০ টাকার আলু বাছাই করা বড় সাইজের। তবে গড়পড়তা আলুর দাম ২০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এ দাম এক মাসের চেয়ে ৫৩ শতাংশ কম। আবার গত বছরের ঠিক এ সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ গত বছরও এ সময় আলুর দাম বেশি ছিল।
শান্তিনগর বাজারের আলু বিক্রেতা মফিজুল হাসান বলেন, ভরা মৌসুমে আলুর দাম কমই থাকে প্রতিবছর। তবে এবার যেহেতু বছরজুড়ে আলুর দাম বেশি ছিল, সেখানে এ দাম কমাটা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে ক্রেতার কাছে।
ফারাজ হুসাইন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বেশি দামে আলু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে এখন যখন দাম কম পাচ্ছি, ভালো লাগছে। আসলে আলুর দাম সব সময় ২৫-৩০ টাকার মধ্যে থাকা দরকার। নাহলে সামান্য বাড়তে পারে। তবে ৬০-৭০ টাকা যুক্তিযোগ্য ছিল না।
গত বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল আলুর দাম। বেশিভাগ সময় খুচরা বাজারে এক কেজি আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর আমদানিও হয়েছে কিছুটা। তবে বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি, বরং দাম বেড়েছে। শেষ এখন দেশের বাজারে আগাম আলু ওঠায় দাম কমছে।
এদিকে এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় খুচরায় দাম কম। আবার গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে আলুর দাম অনেক কমেছে। যাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আগাম আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক হতাশ। অনেকে উৎপাদন খরচ না ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এমন হলে আগামী মৌসুমে আগাম আলুর চাষ কমে যাবে।
এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস