২০২৫ সালে অস্থিরতার মধ্যেও ভালো করেছে কোন দেশের অর্থনীতি?
২০২৫ সালে অস্থিরতার মধ্যেও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কয়েকটি দেশের অর্থনীতি। এই বছর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য রীতিমতো ভয়াবহ হতে পারতো। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করলে বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদদের বড় ধরনের বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে সামলানো গেছে। চলতি বছরে বৈশ্বিক জিডিপি প্রায় তিন শতাংশ বাড়তে পারে, যা গত বছরের সমান। বেশিরভাগ দেশেই বেকারত্ব কম, শেয়ারবাজারে হয়েছে সম্মানজনক উত্থান। বড় উদ্বেগ হিসেবে রয়ে গেছে মূল্যস্ফীতি, ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে তা এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে। এই প্রেক্ষাপটে টানা পঞ্চম বছরের মতো ২০২৫ সালের ‘সেরা অর্থনীতি’ নির্ধারণে ৩৬টি প্রধানত উন্নত দেশের ওপর বিশ্লেষণ চালিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। মূল্যস্ফীতি, মূল্যস্ফীতির বিস্তার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও শেয়ারবাজার—এই পাঁচ সূচকের ভিত্তিতে দেশগুলোকে র্যাংকিং করা হয়েছে। আরও পড়ুন>>২০২৫ সালের সেরা সিইও কে?২০২৫ সালে কতটা মিললো পূর্বাভাসকেমন যাবে নতুন বছর/ বৈশ্বিক বাণিজ্যে জটিলতা আরও বাড়বে ফলাফল অন
২০২৫ সালে অস্থিরতার মধ্যেও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কয়েকটি দেশের অর্থনীতি। এই বছর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য রীতিমতো ভয়াবহ হতে পারতো। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করলে বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদদের বড় ধরনের বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে সামলানো গেছে।
চলতি বছরে বৈশ্বিক জিডিপি প্রায় তিন শতাংশ বাড়তে পারে, যা গত বছরের সমান। বেশিরভাগ দেশেই বেকারত্ব কম, শেয়ারবাজারে হয়েছে সম্মানজনক উত্থান। বড় উদ্বেগ হিসেবে রয়ে গেছে মূল্যস্ফীতি, ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে তা এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে।
এই প্রেক্ষাপটে টানা পঞ্চম বছরের মতো ২০২৫ সালের ‘সেরা অর্থনীতি’ নির্ধারণে ৩৬টি প্রধানত উন্নত দেশের ওপর বিশ্লেষণ চালিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। মূল্যস্ফীতি, মূল্যস্ফীতির বিস্তার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও শেয়ারবাজার—এই পাঁচ সূচকের ভিত্তিতে দেশগুলোকে র্যাংকিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
২০২৫ সালের সেরা সিইও কে?
২০২৫ সালে কতটা মিললো পূর্বাভাস
কেমন যাবে নতুন বছর/ বৈশ্বিক বাণিজ্যে জটিলতা আরও বাড়বে
ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেরা পারফর্মিং অর্থনীতি হয়েছে পর্তুগাল। দেশটি শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধি, তুলনামূলকভাবে কম মূল্যস্ফীতি এবং চাঙ্গা শেয়ারবাজার—এই তিনের সমন্বয় ঘটাতে পেরেছে। দক্ষিণ ইউরোপের জন্য এটি টানা ভালো খবর।
গত বছর শীর্ষে ছিল স্পেন, আর এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে গ্রিস ভালো করেছে। স্পেন ও গ্রিস এবারও তালিকার ওপরের দিকে রয়েছে।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের অস্থিরতার পর শক্তিশালী পুনরুদ্ধার অব্যাহত রেখেছে। আয়ারল্যান্ড অল্পের জন্য শীর্ষস্থান হাতছাড়া করেছে। কলম্বিয়াও জোরালো প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারের ভালো পারফরম্যান্সের কারণে নজর কেড়েছে।
অন্যদিকে, সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স দেখা গেছে উত্তর ইউরোপের কয়েকটি দেশে। এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া তালিকার নিচের দিকে। জার্মানি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো করলেও দুর্বল চাকরির বাজারের কারণে পিছিয়ে আছে। যুক্তরাজ্যের বছরটিও মোটামুটি ‘মাঝারি’ পর্যায়ের। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ফ্রান্স তুলনামূলক ভালো স্কোর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র তালিকার মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে, এমনকি ইতালির চেয়েও নিচে। দেশটির চাকরির বাজার শক্ত হলেও অসাধারণ নয়, আর তুলনামূলক বেশি মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক স্কোর কমিয়েছে।
মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে চরম উদাহরণ তুরস্ক। সেখানে নীতিগত কারণে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। বিপরীতে সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডে মূল্যস্ফীতি খুবই কম, যা অর্থনীতিবিদদের কাছে মূল্যহ্রাসের (ডিফ্লেশন) ঝুঁকি তৈরি করছে।
শেয়ারবাজারের দিক থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির বড় ব্যাংক ব্যাংক লিউমির শেয়ারদর এক বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। পর্তুগালের শেয়ারবাজারও ২০২৫ সালে ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকে সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে উঠে এসেছে পর্তুগাল—যেখানে প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা একসঙ্গে কাজ করেছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/
What's Your Reaction?