২০২৫ সালের সেরা সিইও কে?
অশান্ত ও চ্যালেঞ্জে ভরা একটি বছর পেরিয়েছে বৈশ্বিক করপোরেট নেতৃত্ব। হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ফলে বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ আবারও মাথাচাড়া দেয়। একই সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লেও তা থেকে স্থায়ী মুনাফা নিশ্চিত করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালে কোন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা নির্ধারণে বিশ্লেষণ চালিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। আগের বছরগুলোর মতো এবারও এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন বিশ্লেষণ করা হয়। যেসব সিইও তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে ছিলেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর খাতভিত্তিক অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ সিইওকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই তালিকায় ছিলেন জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, বিশ্বের বৃহত্তম সোনা খনি প্রতিষ্ঠান নিউমন্টের টম পামার, জাপানের ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি,
অশান্ত ও চ্যালেঞ্জে ভরা একটি বছর পেরিয়েছে বৈশ্বিক করপোরেট নেতৃত্ব। হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ফলে বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ আবারও মাথাচাড়া দেয়। একই সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লেও তা থেকে স্থায়ী মুনাফা নিশ্চিত করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে।
এই প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালে কোন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা নির্ধারণে বিশ্লেষণ চালিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। আগের বছরগুলোর মতো এবারও এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারহোল্ডার রিটার্ন বিশ্লেষণ করা হয়। যেসব সিইও তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে ছিলেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর খাতভিত্তিক অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ সিইওকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এই তালিকায় ছিলেন জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, বিশ্বের বৃহত্তম সোনা খনি প্রতিষ্ঠান নিউমন্টের টম পামার, জাপানের ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের ক্বাক নো-জাং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মোসলে।
আরও পড়ুন>>
২০২৫ সালে কতটা মিললো পূর্বাভাস
কেমন যাবে ২০২৬/ সোনায় সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লেও কমতে পারে তেলের দাম
আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ডলারের আধিপত্য
শঙ্কা-বিধিনিষেধ পেরিয়ে নতুন উত্থান দেখবে পর্যটন শিল্প
তবে অতীতের দুর্বল আর্থিক পারফরম্যান্সের কারণে সিগেট ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির সিইওদের সেরার প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। একইভাবে করপোরেট সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফুজিকুরা ও হানওয়া অ্যারোস্পেসের শীর্ষ নির্বাহীরাও তালিকা থেকে ছিটকে পড়েন। আবার সোনার দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় নিউমন্ট ও কিনরস গোল্ডের শেয়ারমূল্য বাড়লেও, সেটিকে মূলত বাজারগত সুবিধা হিসেবে বিবেচনা করে তাদের সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি।
এআই ডেটা সেন্টারের জন্য অপরিহার্য হাই-ব্যান্ডউইথ মেমোরি উৎপাদনের সুবাদে মাইক্রন ও এসকে হাইনিক্স উল্লেখযোগ্য সুবিধা পায়। এর মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগের কারণে এসকে হাইনিক্সের সিইও ক্বাক নো-জাং কিছুটা এগিয়ে থাকেন। খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রেডিং সহজ করার মাধ্যমে রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভও প্রশংসা পান, যদিও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জটিলতায় পড়েছে।
সব দিক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাইনমেটালের প্রধান নির্বাহী আরমিন পাপারগার। চলতি বছরে তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশসহ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন নিশ্চিত করেছে। ইউরোপে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুফল পাওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও রাইনমেটাল আলাদা করে নজর কেড়েছে। বড় বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি জেতার পাশাপাশি নৌযান নির্মাণ খাতে সম্প্রসারণে প্রতিষ্ঠানটি নতুন অধিগ্রহণে এগিয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে রাইনমেটালের নেতৃত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগেই ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেন। এমনকি ২০২৪ সালে তার বিরুদ্ধে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠলেও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে যাননি।
দ্য ইকোনমিস্টের মতে, দূরদর্শিতা ও দৃঢ় নেতৃত্বের সুবাদেই ২০২৫ সালে সেরা সিইওর স্বীকৃতি পেয়েছেন আরমিন পাপারগার।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/
What's Your Reaction?