২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিদের কত কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হবে?

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র সম্পন্ন হওয়ায় শুধু প্রতিপক্ষই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ভ্রমণসূচিও এখন পরিষ্কার আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সামনে। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে নকআউট রাউন্ডে যেতে হলে কতটা পথ পাড়ি দিতে হতে পারে—তার একটি মোটামুটি ধারণা মিলেছে। গ্রুপ ‘জে’-তে আর্জেন্টিনার সঙ্গী আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই হবে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথম ম্যাচ ১৬ জুন কানসাস সিটিতে আলজেরিয়ার বিপক্ষে। এরপর ছয় দিন পর, ২২ জুন ডালাসে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হবে আলবিসেলেস্তেরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ২৭ জুন আবারও কানসাস সিটিতে, প্রতিপক্ষ জর্ডান। কানসাস সিটি ও ডালাসের দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বেই নিশ্চিতভাবে এই দীর্ঘ যাত্রা করতে হবে আর্জেন্টিনাকে। কানাডা বা মেক্সিকোতে না খেললেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই তাদের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের পরিসর আরও বাড়তে পারে। গ্রুপসেরা হয়ে উঠলে রাউন্ড অব ৩২-এর ম্যাচ হতে পারে মায়ামিতে, যা ডালাস বা কানসাস সিটি থেকে আরও অনেক দূরে। গ্রুপে দ্বিতীয় হলে খেল

২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিদের কত কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হবে?

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র সম্পন্ন হওয়ায় শুধু প্রতিপক্ষই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ভ্রমণসূচিও এখন পরিষ্কার আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সামনে। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে নকআউট রাউন্ডে যেতে হলে কতটা পথ পাড়ি দিতে হতে পারে—তার একটি মোটামুটি ধারণা মিলেছে।

গ্রুপ ‘জে’-তে আর্জেন্টিনার সঙ্গী আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই হবে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথম ম্যাচ ১৬ জুন কানসাস সিটিতে আলজেরিয়ার বিপক্ষে। এরপর ছয় দিন পর, ২২ জুন ডালাসে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হবে আলবিসেলেস্তেরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ২৭ জুন আবারও কানসাস সিটিতে, প্রতিপক্ষ জর্ডান।

কানসাস সিটি ও ডালাসের দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বেই নিশ্চিতভাবে এই দীর্ঘ যাত্রা করতে হবে আর্জেন্টিনাকে। কানাডা বা মেক্সিকোতে না খেললেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই তাদের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের পরিসর আরও বাড়তে পারে।

গ্রুপসেরা হয়ে উঠলে রাউন্ড অব ৩২-এর ম্যাচ হতে পারে মায়ামিতে, যা ডালাস বা কানসাস সিটি থেকে আরও অনেক দূরে।

গ্রুপে দ্বিতীয় হলে খেলতে হতে পারে লস অ্যাঞ্জেলসে, গ্রুপ ‘এইচ’-এর শীর্ষ দলের বিপক্ষে।

পরবর্তী রাউন্ডগুলোর সম্ভাব্য ভেন্যুগুলো হলো—

  • রাউন্ড অব ১৬: ডালাস বা আটলান্টা
  • কোয়ার্টার ফাইনাল: লস অ্যাঞ্জেলস বা কানসাস সিটি
  • সেমিফাইনাল: ডালাস বা আটলান্টা
  • ফাইনাল (১৯ জুলাই): নিউইয়র্ক

আর যদি আর্জেন্টিনা গ্রুপে তৃতীয় হয়ে সেরা আট তৃতীয় দলের একটি হিসেবে নকআউটে ওঠে, তাহলে ভ্রমণের চিত্র আরও বদলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ম্যাচ হতে পারে সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটল কিংবা ভ্যাঙ্কুভারে।

সব মিলিয়ে, শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে স্কালোনির দলের সামনে অপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দীর্ঘ ভ্রমণের চ্যালেঞ্জ। গ্রুপ পর্বে মাঝারি দূরত্ব হলেও নকআউটে তা রীতিমতো এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সফরে রূপ নিতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow