২৪ ঘণ্টায় গাজা-লেবাননের ১৭৫ স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

4 hours ago 5

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা এবং লেবাননের ১৭৫ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের অস্ত্রাগার, রকেট লঞ্চার এবং অন্যান্য স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তাদের বিমান বাহিনী। খবর আল জাজিরার।

এদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা বন্দরে একটি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পাশাপাশি লেবাননের বিভিন্ন স্থানেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি সৈন্যদের ভারী বন্দুকযুদ্ধের খবরের কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।

শনিবার রাতে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে গাজা শাসনকারী হামাস কর্তৃপক্ষ। হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসরায়েল বলেছে, তারা হামলায় হতাহতের রিপোর্ট পরীক্ষা করছে। কিন্তু একইসঙ্গে তারা হামাস কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যানকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসরায়েলের দাবি, এ বিষয়ে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে হামাসের তথ্য মেলে না।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিবিসিকে বলেছে, তারা হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ও বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যা যা করা যায়, করেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজাজুড়ে অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।

এদিকে উত্তর ইসরায়েলের সিজারিয়া শহরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলার কয়েক ঘন্টা পর এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য ইরানের প্রতিনিধি হিজবুল্লাহর প্রচেষ্টা একটি বড় ধরনের ভুল ছিল।

তিনি বলেন, ইরান এবং তাদের প্রতিনিধি এবং তাদের মিত্রদের কেউ ইসরায়েলের কোনো নাগরিকের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

নেতানিয়াহুকে হত্যারচেষ্টায় চালানো ওই হামলার ঘটনায় ইরানকেই দায়ী করছে ইসরায়েল। এই হামলার কঠিন জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

টিটিএন

Read Entire Article