সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষণ ও মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্তে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক স্মরণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের ২৫ জন বরেণ্য শিল্পী ও গুণীজনদের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করা হবে।
আরও পড়ুন :
- শিল্পকলায় চলচ্চিত্র বিভাগ চেয়ে যেসব যুক্তি দিলেন ১৭৫ বিশিষ্টজন
- সচিব পদমর্যাদা পেলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায়, চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কবির, চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও লেখক, কবি, নাট্যকার ও অধ্যাপক জিয়া হায়দারকে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্মরণ করা হবে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও চিত্র নাট্যকার আব্দুল জব্বার খান এবং চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, চিত্রনাট্যকার মৃণাল সেনকে।
সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী, সেতার বাদক ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খান, সুরকার ও সরোদীয় ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, সুরকার ও সংস্কৃতিকর্মী আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে সাহিত্যিক ও সাধক কবি রাধারমন দত্ত, সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত, সংগীতশিল্পী ও পরিচালক অজিত রায়, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা, কবি জালাল খাঁ এবং সুরকার ও সংগীত পরিচালক সমর দাসকে নিয়ে।
চারুকলা বিভাগ আয়োজন করবে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান, ভাস্কর নভেরা আহমেদ, চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং চিত্রশিল্পী শফি উদ্দিন আহমেদ নিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠান। প্রযোজনা বিভাগ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী নেতা বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্য সেন এবং ঔপন্যাসিক, কবি, গবেষক, ভাষা বিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ আলোকচিত্রী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নওয়াজেশ আহমেদ; আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদার এবং আলোকচিত্রশিল্পী আফতাব উদ্দিন-কে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
সাবিনা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আয়োজনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটি আসছে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করা হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগগুলো তাদের শিডিউল তৈরি করে এটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে আয়োজন করবে।’
নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের কীর্তিমান মনীষীদের জীবন ও তাদের সৃষ্টিকে তুলে ধরতেই আয়োজনটির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই কর্মকর্তা।
এলআইএ/এমএস