৩ বছর আগে বরখাস্ত হলেও পুরো বেতন পাচ্ছেন শিক্ষক

3 hours ago 3

বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মুরাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও নিয়মিত পুরো বেতন পাচ্ছেন। তিন বছর কলেজে না এসেও সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ নিচ্ছেন এমপিওভুক্ত এই শিক্ষক। তবে তার বেতন পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি যান্ত্রিক ত্রুটি বলে এড়িয়ে যান কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন।

ধুনটে জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের মার্চে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি গ্রেপ্তার ও কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী, বরখাস্তের পর মুরাদুজ্জামানের অর্ধেক বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি নিয়মিত পুরো টাকা তুলছেন। 

তথ্য বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটিতে তাকে নিয়মিত হিসেবে তালিকাভুক্ত করে পূর্ণ বেতন দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক স্টেটমেন্টে সোনালী ব্যাংকের ধুনট শাখায় তার অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ঢুকছে পুরো বেতন ৪০ হাজার ৫০০ টাকা করে। পাশাপাশি তাকে প্রতি মাসে নিয়মিত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধেও। আর দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

এনিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মুরাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বেতন পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি যান্ত্রিক ত্রুটি বলে এড়িয়ে যান কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ অভিযুক্ত শিক্ষকের এমপিও বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষক অপরাধ করে পার পাবে, সেটার সুযোগ নেই।’

উল্লেখ্য, মামলা হওয়ার দুই বছর পর ২০২৪ সালের মার্চে মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী কর্মকর্তা।


 

Read Entire Article