৩০০ এর মধ্যে ২২০ আসন চায় শরিকরা, বড় ভাবনায় জামায়াত

আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ইসলামি দলগুলো ‘ইসলামি দলগুলোর সব ভোট এক বাক্সে’ আনার লক্ষ্যে আসন সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে আটটি দল এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে এবং সব আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা এগোচ্ছে। সূত্র জানায়, লিয়াজোঁ কমিটি দু-একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করতে পারে। জানা গেছে, পাঁচ দফা আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনি মাঠে অবস্থান নেয়। তবে শরিক দলগুলো প্রায় ২২০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সমমনা ইসলামি দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে উদ্যোগ নেন এবং সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার মনোভাব দেখান। গত ১৬ মাসে আটটি দল এ বিষয়ে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব য

৩০০ এর মধ্যে ২২০ আসন চায় শরিকরা, বড় ভাবনায় জামায়াত

আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ইসলামি দলগুলো ‘ইসলামি দলগুলোর সব ভোট এক বাক্সে’ আনার লক্ষ্যে আসন সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে আটটি দল এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে এবং সব আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা এগোচ্ছে। সূত্র জানায়, লিয়াজোঁ কমিটি দু-একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করতে পারে।

জানা গেছে, পাঁচ দফা আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনি মাঠে অবস্থান নেয়। তবে শরিক দলগুলো প্রায় ২২০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সমমনা ইসলামি দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে উদ্যোগ নেন এবং সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার মনোভাব দেখান। গত ১৬ মাসে আটটি দল এ বিষয়ে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের বলেন, আসন সমঝোতার খুব কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। আসন সমঝোতার ভিত্তিতে আরও কয়েকটি দল তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, ফলে সমমনা দলের সংখ্যা ১০ বা ১১-এ উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আসন বণ্টন সংখ্যার ভিত্তিতে নয়, বরং যেখানে যাকে দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি—সেই বিবেচনায় প্রার্থী ঠিক করা হবে। ইসলামপন্থিদের সব ভোট এক বাক্সে আনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, তারা ১২০টি আসনে প্রার্থী দিতে আগ্রহী। দলটির মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, আটটি দল কার্যত এক দল হিসেবেই কাজ করছে। যে দলের প্রার্থীই হোন না কেন, যিনি জয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবেন তাকেই প্রার্থী করা হবে।

খেলাফত মজলিস ৩০টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, আসন চূড়ান্ত হয়নি, আলোচনা সাপেক্ষেই সিদ্ধান্ত হবে। অন্যদিকে খেলাফত আন্দোলন ২০টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি কমপক্ষে ১০টি করে আসনের দাবি জানিয়েছে।

সব মিলিয়ে সাতটি দলের দাবি প্রায় ২২০ আসন। আরও দুই-তিনটি দল জোটে যুক্ত হলে জামায়াতে ইসলামীর জন্য কতটি আসন থাকবে—সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আট দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মাঠ জরিপের ভিত্তিতে কোন দল কোন আসনে বেশি শক্ত অবস্থানে রয়েছে, তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহত্তর ইসলামি ঐক্যের স্বার্থে সব দলই সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করেছে। লক্ষ্য হচ্ছে—ইসলামি দলগুলো যেন সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদে যেতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow