৩৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে সরকার

5 hours ago 3

প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে সরকার। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও কানাডা থেকে এসব সার আমদানি করা হবে।

এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার টন এবং কানাডা থেকে ৪০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করা হবে। এতে মোট খরচ হবে ৩৩১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বেঠকে এই সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়ার চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রস্তাবটি সিসিই সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ২৪ জুলাই আবার চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানির চুক্তিতে উল্লেখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আনতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। প্রতি টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার।

বৈঠকে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ও বিএডিসি’র মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ২৯ এপ্রিল চুক্তি নবায়ন করা হয়।

জানা গেছে, সার আমদানির চুক্তিতে উল্লেখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটির কাছ থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭৭ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার।

এমএএস/ইএ/এএসএম

Read Entire Article