নদীপথে আড়ত (মহিপুর) অভিমুখে যাওয়ার পথে বরগুনার পায়রা নদী থেকে ৩৫টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জেলেদের দাবি, তারা ইলিশ শিকারে না গিয়ে খালি ট্রলার নিয়ে মহিপুরে যাচ্ছিলেন, অথচ অহেতুকভাবে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে।
আটক ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেবক মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বরগুনার পায়রা নদীতে যৌথভাবে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড।
মা ইলিশ সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ওই রাতে বিভিন্ন সময় পায়রা নদী থেকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা ৩৫টি ট্রলার ও প্রায় ১৫০ জেলেকে আটক করা হয়।
পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিটি ট্রলারকে ১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থান ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, কোস্টগার্ড সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটক ট্রলারগুলো স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেওয়া হয়।
আটক জেলেরা বলেন, আমরা কেউই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিনি। মাছ ধরার জাল বা সরঞ্জাম আমাদের সঙ্গে ছিল না। শুধু খালি ট্রলার নিয়ে মহিপুরে যাচ্ছিলাম খাবার, বরফ আর জাল মেরামতের জন্য। রাতে নদী থেকে আটক করে তীরে নিয়ে এসে আমাদের ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনেক ট্রলারে চুলা বা গ্যাস ছিল না, রাত থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেবক মণ্ডল কালবেলোকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই অভিযান চালানো হয়েছে। আটক প্রতিটি ট্রলারে ১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রলারগুলো স্থান ত্যাগে নিষেধ করা হয়েছে।

3 hours ago
4









English (US) ·