বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা আলকা ইয়াগনিক। ১৬টি ভাষায় ২০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। এমনকি কলকাতাতেও এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যারা তার নাম জানেন না। জন্ম গুজরাতি পরিবারে, শাস্ত্রীয় সংগীত শেখা শুরু করেন মা শুভা ইয়াগনিকের কাছ থেকে। ১০ বছর বয়সে চলে যান মুম্বাইয়ে।
আলকার ব্যক্তিগত জীবনও কম চমকপ্রদ নয়। শিলংয়ের ব্যবসায়ী নীরজ কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি, কিন্তু ৩৬ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে থাকছেন আলাদা। তবে এটি কখনো তাদের সম্পর্কের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি।
১৯৮০ সালে ‘পায়েল কি ঝঙ্কার’ দিয়ে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু। কণ্ঠের জাদু দর্শককে মুগ্ধ করেছে, একের পর এক হিট গান দিয়েছেন। কুমার শানু ও উদিত নারায়ণের সঙ্গে একাধিক গানও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই নিয়ে শোনা গেছে যে, আলকার সঙ্গে শানু-উদিতের সম্পর্ক রয়েছে- তবে বাস্তবতা হলো, তার প্রেম শুধু নীরজের জন্যই।
কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও ব্যক্তিগত জীবন কখনো নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়নি। ১৯৮৯ সালে বিয়ে হলেও ব্যবসা এবং কাজের কারণে আলকা মুম্বইতে, নীরজ শিলংয়ে থাকতেন। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে বিচ্ছেদ আসতে পারে, কিন্তু অলকা-নীরজের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
তাদের প্রথম পরিচয়ও ফিল্মের মতো- মায়ের বন্ধুর আত্মীয় নীরজের সঙ্গে স্টেশনে দেখা। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিল। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে। দুই পরিবার প্রথমে বিয়েতে রাজি ছিল না, কিন্তু বিশ্বাসের জোরেই সম্পর্ক টিকে গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে আলকা বলেন, ‘আমি অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হইনি, কারণ আমার নীতি এবং বিশ্বাস নীরজের প্রতি। বারবার ভেবেছি, আমি তাকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসা এবং বিশ্বাসই আমাদের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।’
নীরজ মুম্বইয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ছোট শহরের সরল ছেলে হওয়ায় সফল হননি। তাই এই তারকা শিল্পী চাইতেন, যাতে তিনি বারবার প্রতারিত না হন, তাই শিলংয়ে থাকাই উপযুক্ত।
মাঝেমধ্যে পাঁচ বছর সেপারেট থাকলেও, কথার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করেছেন। এখন নীরজ মাঝে মাঝে মুম্বইয়ে আসেন, আলকা বছরে একবার শিলংয়ে গিয়ে পারিবারিক জীবন কাটান। ৩৬ বছর ধরে বিবাহিত হলেও আলাদা থেকেও সুখী জীবন কেটেছে তাদের।