দেশের ৪টি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কারের দাবিতে ২৫ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন করছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা হলে এই অনশন থামাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের অনশন করতে দেখা যায়। এর আগে রোববার সকালে অনশন শুরু করেন তারা।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মৃন্ময় বলেন, দাবিগুলো মানার জন্য আমরা অনশনে বসেছি। এখন পর্যন্ত কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়নি। আমরা সবাইকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা অনশন ভাঙব না।
শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দেশের চারটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ প্রশাসনিক ও একাডেমিক জটিলতার মধ্যে ভুগছি।
তারা জানান, আমরা দীর্ঘ দুই মাস ধরে স্ব-স্ব ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করায় আমরা ২৭ জুলাই থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করেছি। ২৮ জুলাই আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৫০০ শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১০ আগস্ট থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছি।
শিক্ষার্থীদের কলেজগুলোর সমস্যাগুলো হলো—
১. দীর্ঘ ১৮ বছরেও একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যর্থতা।
২. শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা, ফলে শিক্ষক সংকট চরম পর্যায়ে।
৩. গবেষণা পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ জনবান নিয়োগে ব্যর্থতা।
৪. অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যর্থতা।
৫. পরীক্ষা ও মূল্যায়ন ব্যবস্থার অনিয়ম ও অদক্ষতা।
৬. Outcome Based Education (OBE) বাস্তবায়নে ব্যর্থতা।
৭. The Institution of Engineers (IEB) এর স্বীকৃতির অভাব ইত্যাদি।
এসময় শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্যে BIT (Bangladesh Institute of Technology) মডেল অনুসরণে একটি নতুন, স্বাধীন, টেকসই ও সময়োপযোগী স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের মাধ্যমে চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এমএইচএ/এমআইএইচএস/জেআইএম