ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে বিকেল ৪টা থেকে যানজট শুরু হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বরাব ও তারাব বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া যানজট ছড়িয়ে পড়ে কাঁচপুর থেকে রূপসী ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। উভয় দিকের যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। রাত ৮টার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
কথা হয় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুপুরে গাউছিয়া হাটে গিয়েছিলাম। কাজ সেরে সন্ধ্যা ৬টায় রওনা দেই। মৈকুলি এসে জ্যামে পড়ে রাত ৮টায় কাঁচপুর পৌছাই। ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগে যায় দুই ঘণ্টা।
লেগুনা চালক জাকির হোসেন বলেন, বিকেল ৪টা থেকে যানজটের সূচনা হয়। এই যানজট আস্তে আস্তে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। যানজট না থাকলে পাঁচ ঘণ্টায় আমি তিনটা ট্রিপ মারতে পারতাম। এ সময়ের মধ্যে যানজট ঠেলে ভুলতা থেকে একবার কাচপুর গেছি। আর কাঁচপুর থেকে ফেরার পথে তারাব বিশ্বরোডে যানজটে আটকে আছি।
প্রাইভেটকার যাত্রী জিতু কবির জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আত্মীয়ের বাড়ি সোনারগাঁ যাচ্ছিলেন। তারাবো পৌর কার্যালয়ের সামনে যানজটে আটকে পরে তাদের গাড়ি। তিনি বললেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে যানজটের কবলে পড়েছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। আবার আগে যাওয়ার জন্য কিছু গাড়ি এক এক সাইডে একাধিক লাইন করে ফেলছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। তবে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে কাঁচপুর থেকে যাত্রামুড়া পর্যন্ত। আমার এরিয়া আমি সবসময় নজরদারিতে রাখি। তারাব ও বরাব স্ট্যান্ড থেকে যানজটের সূত্রপাত হয়ে মাঝে মাঝে কাঁচপুর অব্দিও যানজট লেগে যায়। তবে হাইওয়ে পুলিশের একান্ত প্রচেষ্টায় অতি দ্রুত সময়ে মহাসড়ক যানজটমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।
নাজমুল হুদা/জেডএইচ/জেআইএম