৪ ঘণ্টা পর দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

3 hours ago 2

সাত দফা দাবিতে দিনাজপুরে রেলপথ ও সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া আশ্বাস দিলে ৪ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার শিক্ষার্থীরা শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রেলপথ ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে যোগ দেয় শহরের সবকটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

অবরোধে অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ শতশত যানবাহন আটকে পড়ে গোটা শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এছাড়া ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকা পড়ে। 

এদিকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় ও ঘটনাস্থল ত্যাগ করে শিক্ষার্থীরা। এতে শহরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

দিনাজপুর রেলওয়ের স্টেশন সুপার জিয়াউল হক বলেন, রেলপথ অবরোধের ফলে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’ ও রাজশাহীগামী ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি দিনাজপুর রেল স্টেশনে আটকা পড়ে। বেলা সোয়া ১টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে ট্রেন দুটি স্টেশন ছেড়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. আরমান হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সরাসরি গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। এই হুমকির প্রেক্ষিতে আমাদের পক্ষ থেকে হুমকিদাতাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে আমরা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল ও জড়িতদের চাকরিচ্যুতি এবং ২০২১ সালের নিয়োগবিধি সংশোধন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির নিয়ম বাতিল এবং চার বছর মেয়াদি আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে (দশম গ্রেড) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা খাতের সকল প্রশাসনিক পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ, স্বতন্ত্র কারিগরি মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষায়িত টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগের দাবিও করেছেন তারা।

Read Entire Article