বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িলে অবরোধ শুরুর চার ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে শ্রমিকরা সড়ক ছাড়লেও অবরোধে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হওয়ায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল।
বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কুড়িলে যানবাহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে। কুড়িলের অবরোধের প্রভাব পড়েছে ঢাকার অন্য অনেক সড়কেও। ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিয়াউর রহমান জিয়া জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার দিকে কুড়িলে ইউরোজোন ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানার প্রায় ৫০০ কর্মী বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং সড়ক ছেড়ে দিতে তাদের অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা পর বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে সড়ক ছেড়ে দেন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরে কুড়িলে সড়কের উভয় পাশ অবরোধ করেন শ্রমিকরা। ফলে দুই লেনেই যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকেলে শ্রমিকরা সড়ক ছাড়লে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে দীর্ঘ সময় অবরোধ থাকায় সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। এতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। যানজট নিরসনে গুলশান বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
এদিকে, কুড়িলে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের প্রভাব পড়েছে ঢাকার অন্যান্য সড়কেও। দুপুরের পরই বাড্ডা, রামপুরা, গুলশান, মহাখালী ও আশপাশের সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিস-কর্মস্থলগামী যাত্রীরা।
বিকেল ৪টার পর সরেজমিনে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, গুলশান ও মহাখালীর ব্যস্ততম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেসব এলাকার সড়কে গাড়ির অত্যধিক চাপ। সব সড়কে অবরোধের ছাপ। যানবাহনগুলোর কোথাও এক জায়গায় আটকে আছে, কোথাও খুব ধীরগতিতে চলছে। এতে ওইসব সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যাত্রীদের অনেককে দেখা গেছে, বাস থেকে নেমে রাইড শেয়ারিং অথবা অন্য কোনো বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সড়ক স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
এর আগে দুপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের পরই গুলশান ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে নগরবাসীকে ভোগান্তি সম্পর্কে অবগত করে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।
ফেসবুকে এক পোস্টে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ জানায়, কুড়িলে ইউরোজোন ফ্যাশন গার্মেন্টসের প্রায় ৫০০ কর্মী বেতন-ভাতার দাবিতে ইনকামিং ও আউটগোয়িং রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে কুড়িল থেকে বাড্ডার দিকে ও বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে কোনো গাড়ি যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে থানার অফিসার-ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে।
টিটি/এমকেআর/এএসএম