৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম পরিষ্কার না করলে নামাজ হবে কি?

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক— সামগ্রিক পরিসরে যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ইসলামের রয়েছে সমৃদ্ধ আয়োজন। এমনকি মানুষের পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য ও সুস্থতা রক্ষায় ইসলাম বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পাঁচটি জিনিস মানুষের স্বভাবজাত বিষয়— খতনা করা, ক্ষৌরকার্য করা (নাভির নিচের লোম পরিষ্কার), বগলের চুল উপড়ানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা।’ (বোখারি : ৫৮৮৯) আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে, ৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম পরিষ্কার না করলে নামাজ কবুল হয় না। তাই অনেকেই জানতে চান, এই কথা সঠিক কি না। চলুন, এ বিষয়ে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি জেনে নিই— রাজধানীর জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর-১২ এর ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী কালবেলাকে বলেন, নাভির নিচের পশম প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা মোস্তাহাব। আর তা জুমার দিনে করা অতি উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে প্রতি ১৫ দিনে একবার। এর চেয়েও বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিন যেন অতিক্রম না হয়। কেননা এর চেয়ে বেশি বিলম্ব করা মাকরুহ। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাস

৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম পরিষ্কার না করলে নামাজ হবে কি?

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক— সামগ্রিক পরিসরে যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ইসলামের রয়েছে সমৃদ্ধ আয়োজন। এমনকি মানুষের পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য ও সুস্থতা রক্ষায় ইসলাম বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে।

ইরশাদ হয়েছে, ‘পাঁচটি জিনিস মানুষের স্বভাবজাত বিষয়— খতনা করা, ক্ষৌরকার্য করা (নাভির নিচের লোম পরিষ্কার), বগলের চুল উপড়ানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা।’ (বোখারি : ৫৮৮৯)

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে, ৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম পরিষ্কার না করলে নামাজ কবুল হয় না। তাই অনেকেই জানতে চান, এই কথা সঠিক কি না। চলুন, এ বিষয়ে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি জেনে নিই—

রাজধানীর জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর-১২ এর ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী কালবেলাকে বলেন, নাভির নিচের পশম প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা মোস্তাহাব। আর তা জুমার দিনে করা অতি উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে প্রতি ১৫ দিনে একবার। এর চেয়েও বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিন যেন অতিক্রম না হয়। কেননা এর চেয়ে বেশি বিলম্ব করা মাকরুহ।

হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) নখ ও গোঁফ কাটা এবং বগলের চুল উপড়ানো ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, তা যেন চল্লিশ রাতের অধিক (অপরিষ্কার অবস্থায়) না রাখা হয়।’ (মুসলিম : ২৫৮)

মুফতি আব্দুর রহমান জানান, হাদিসটির ভাষ্যমতে ৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম অপরিষ্কার রাখা ঠিক নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে এই মেয়াদ অতিক্রম করলে গোনাহ হবে। যেহেতু নবীজি (সা.) এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাই ৪০ দিনের বেশি বিলম্ব করা ঠিক না। তবে এ কারণে ব্যক্তির নামাজ কবুল হবে না— এই কথাটি ঠিক নয়। কারণ হাদিসের কোথাও এমন কথা বলা হয়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow