‘৫ জিবি ফ্রি ডাটার ৫০০ এমবিও ব্যবহার করতে পারেননি গ্রাহকরা’

1 month ago 21

ইন্টারনেট শাটডাউনে অব্যবহৃত ডাটার পরিবর্তে বিনামূল্যে ৫ জিবি ডাটা প্যাকেজ পেয়েছেন সক্রিয় গ্রাহকরা। তবে ধীরগতির কারণে প্যাকেজের ৫০০ এমবি ডাটাও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক ব্যবহার করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন গ্রাহকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তুলেছেন।

বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়। যদিও ওইদিন রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট সচল হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ছিল মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয় অপারেটররা ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস হিসেবে দিবে।

'মান্থলি প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা প্রদান করা হয়। যদিও টেলিটক গ্রাহকদের বোনাস দেওয়া হয়নি বলে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএসে নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল তিন এমবিপিএস।

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ইন্টারনেট ডাটা সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৫০০ এমবি ব্যবহার করতে পেরেছে গ্রাহক। আজ বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডাটা।

এদিকে, বিবৃতিতে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবিগুলো হলো-

১. ফোরজি গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস প্রদান করতে হবে।

২. গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।

৩. ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে হবে।

৪. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০ শতাংশ কম আদায় করতে হবে।

৫. রাস্তাঘাটে মোবাইল চেক করার নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের যাতে হেনস্থা করা না হয়।

দুই দিনের মধ্যে তাদের এ দাবি দাওয়া মেনে না নিলে আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি করার ঘোষণাও দেন তারা।

এএএইচ/এসআইটি/জিকেএস

Read Entire Article