৫ ডিসেম্বর লালদীঘির জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, পাঁচ দফা যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) লালদীঘি ময়দানের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আট দলের উদ্যোগে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম, নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মাওলানা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, পাঁচ দফা যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) লালদীঘি ময়দানের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আট দলের উদ্যোগে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম, নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মাওলানা জিয়াউল হোছাইন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আবু জাফর মোহাম্মদ আনাস, জামায়াতের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন শুধু রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি জাতীয় আশা-আকাঙ্খা, সংস্কার বাস্তবায়নের বাস্তব প্রতিফলন। গণভোট ছাড়া নির্বাচন হলে কোনোভাবেই জনগণের ম্যান্ডেটের প্রতিফলন হবে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে, গণহত্যা করেছে এবং ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এসব অপরাধের বিচার দৃশ্যমান না হলে দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।
৮ দলের ঘোষিত ৫ দফা দাবিসমূহ
১. জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান আদেশ) ২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা।
২ . আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয়কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪ . বিগত সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
আগামী ৫ ডিসেম্বর লালদীঘি ময়দানের সমাবেশে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চানসহ অন্যরা।
এমআরএএইচ/এমএমকে/এএসএম
What's Your Reaction?