৫ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে

5 hours ago 7

আর্থিকভাবে সংকটে থাকা পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) কারিগরি সহায়তায় ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ অন্যান্য পাওনাদারের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারিত।

অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী, রেজল্যুশনের আওতায় থাকা ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি এবং অতিরিক্ত টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধনধারীদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডারদের যতটা ক্ষতি হতো, তারচেয়ে বেশি হলে সেই পার্থক্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন
পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন
শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পদের গুণগত মান যাচাই (একিউআর) ও বিশেষ পরিদর্শনে দেখা গেছে, পাঁচটি ব্যাংকই ব্যাপক লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- এই লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদেরই বহন করতে হবে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষার সুযোগ আপাতত নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, চাইলে সরকার ক্ষুদ্র শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

ইএআর/একিউএফ/জেআইএম

Read Entire Article