ইগো বা অহংকার আমাদের মনের শান্তি কেড়ে নেয়। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে আমরা অজান্তেই অন্যদের সঙ্গে তুলনা করতে থাকি, সব সময় প্রশংসা পেতে চাই, এমনকি কথা বলার সময় অন্যকে ছোট করে ফেলি। নিজের মধ্যে বিনয়, সহমর্মিতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে চাইলে ইগো নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।
চলুন জেনে নিই, ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫টি সহজ উপায়।
কখন ইগো বাড়ে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন : প্রথমে খেয়াল করুন, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে আপনার ইগো বেড়ে যায়। সাধারণত তুলনা করা, আত্মরক্ষার চেষ্টা করা, বা সব সময় নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টায় ইগো জন্ম নেয়। যখন এমন মুহূর্ত আসে, একটু থামুন ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে পারলে ইগো সহজেই কমে যাবে।
শেখার মানসিকতা রাখুন : যখন আমরা ভাবি ‘আমি সব জানি’, তখনই ইগো তৈরি হয়। তাই নিজেকে সবসময় একজন শিক্ষার্থী ভাবুন। ভুল করলে স্বীকার করুন, কৌতূহলী থাকুন এবং নতুন কিছু শেখার আনন্দ নিন। শেখার মানসিকতা থাকলে ইগো আপনার মন দখল করতে পারবে না।
অন্যদের জন্য কিছু করুন : শুধু নিজের নয়, অন্যের ভালো চাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা সহকর্মীদের পাশে থাকুন। সময় বা সামর্থ্য না থাকলেও অন্তত ভালো কথা বলুন—এটিও একধরনের সেবা। মনে রাখবেন, আপনার ছোট্ট সহায়তাও অন্যের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
মননশীলতা (Mindfulness) চর্চা করুন : মননশীলতা আপনাকে নিজের চিন্তা ও অনুভূতির দিকে মনোযোগ দিতে শেখায়। এতে ‘আমি ভালো, আমি খারাপ, আমাকে দেখো’ ধরনের ভাবনা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। আপনি তখন নরম, শান্ত ও সহানুভূতিশীলভাবে কথা বলতে শিখবেন।
নিজের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবুন : নিজেকে প্রশ্ন করুন—আপনি যা করছেন, সেটা কি প্রশংসা পাওয়ার জন্য, নাকি সত্যিই ভালো কিছু করার জন্য? যখন নিজের কাজেই মনোযোগী হবেন, তখন অন্যের স্বীকৃতি না পেলেও মন খারাপ হবে না। ইগো কমে যাবে, আর মন ভরে উঠবে শান্তিতে।
ইগো কমানো মানে নিজের আত্মসম্মান হারানো নয়—বরং এটা নিজেকে আরও পরিণত, নম্র ও শক্তিশালী করে তোলে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

14 hours ago
5









English (US) ·