৫০০ টাকার জন্য ১০০ ডুব দিয়ে প্রাণ হারালেন কৃষক
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় পাঁচশত টাকা বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দিয়ে মো. বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাচারিবাজার-সংলগ্ন খালে এ ঘটনা ঘটে। বাবুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মো. আনসার আলী মোল্লার ছেলে। জানা যায়, সকালে বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাড়ি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন। এরপর তিনি খালে নেমে একটানা ১০০ বার ডুব দেন। ডুব দেওয়া শেষে খালের পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনেরা তাকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল হালদার জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাইপোথারমিয়া হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় পাঁচশত টাকা বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দিয়ে মো. বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাচারিবাজার-সংলগ্ন খালে এ ঘটনা ঘটে।
বাবুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মো. আনসার আলী মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, সকালে বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাড়ি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন। এরপর তিনি খালে নেমে একটানা ১০০ বার ডুব দেন।
ডুব দেওয়া শেষে খালের পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনেরা তাকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল হালদার জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাইপোথারমিয়া হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানির পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
What's Your Reaction?