ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বিখ্যাত ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মুহূর্তে পারফরম্যান্স নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্লাবের প্রধান কোচ রুবেন আমোরিম। বছরের শেষ দিন প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ১৪তম স্থানে থাকা ইউনাইটেডের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবনমন সম্ভব। আমাদের ভক্তদের কাছে আমরা সৎ থাকতে চাই।’
শেষবার ৫১ বছর আগে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অবনমিত হয়েছিল। যদিও সেই সময় কিংবদন্তি ডেনিস ল’র পিছন দিয়ে করা এক গোল তাদের অবনমনের কারণ হিসেবে পরিচিত, প্রকৃতপক্ষে ইউনাইটেডের অবনমন সেদিন আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।
এই মৌসুমে ইউনাইটেডের অবস্থাও একেবারেই ভিন্ন কিছু নয়। ডিসেম্বর মাসে তারা সব প্রতিযোগিতায় ছয়টি ম্যাচ হেরেছে, যা ক্লাবের ইতিহাসে তৃতীয়বার ঘটল। একই মাসে ১৮টি গোল হজম করেছে ইউনাইটেড, যা ১৯৬৪ সালের পর তাদের জন্য সর্বোচ্চ।
নিজের দায় স্বীকার করে আমোরিম বলেন, ‘দল উন্নতি করছে না। আমরা এই মুহূর্তে কিছুটা পথ হারিয়েছি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হয়ে এত ম্যাচ হারানো লজ্জার।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ক্লাবের ভক্তরা অজুহাত শুনতে ক্লান্ত। এই ক্লাবের জন্য একটি ধাক্কার প্রয়োজন।’
ক্লাবের আর্থিক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, জানুয়ারি দল বদল মৌসুমেও নতুন খেলোয়াড় আনার সুযোগ সীমিত। আমোরিম স্পষ্টই জানিয়েছেন, ‘যদি কিছু খেলোয়াড় ছাড়তে না পারি, তাহলে জানুয়ারিতে নতুন কাউকে নেওয়া সম্ভব নয়।’
ক্যাসেমিরো, যিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন, বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে একজন প্যাসেঞ্জার হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে, সামার ট্রান্সফারে ৩৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে যোগ দেওয়া জোশুয়া জির্কজি মাত্র ৩৩ মিনিট খেলেই দর্শকদের তোপের মুখে পড়েন।
ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড চার ম্যাচ পর স্কোয়াডে ফিরলেও বেঞ্চেই বসে ছিলেন। আমোরিম জানিয়েছেন, তার এ সিদ্ধান্ত রাশফোর্ডকে অপমান করার জন্য নয়, বরং দলের ভালোর জন্যই নেওয়া।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থা বর্তমানে এতটাই শোচনীয় যে, অবনমনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের জন্য এটি হবে এক সত্যিকারের শক।