রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোট ‘ইউনাইটেড ফর রাইটস’ আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। তবে শীর্ষ তিন পদে (ভিপি, জিএস, এজিএস) কোনো প্রার্থী রাখা হয়নি।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী নাবিল বিন জাকির প্যানেল ঘোষণা করেন।
প্যানেলে মিডিয়া ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাকসুর সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী ও ভোটার শাহরিয়ার মোর্শেদ খান (৫১)। এ ছাড়া অন্যান্য পদে রয়েছেন— সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে তালহা হোসেন, সংস্কৃতি সহ-সম্পাদক রেজওয়ান করিম, মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাসনাহেনা বর্ষা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইফতেখার আলম দ্রুব, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. নাবিল বিন জাকির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ দাস, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাসেল রানা, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সহ-সম্পাদক আশিকুর রহমান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শাহরিয়ার ফয়সাল ও জাফর আহম্মদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাবিল বিন জাকির। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদানের স্থান নয়, এটি সমাজ গঠনের পরীক্ষাগার। এখানকার মূল্যবোধ ও নেতৃত্ব গোটা জাতিকে প্রভাবিত করে। তাই রাকসু নির্বাচন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বিভাজন ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির যে আশঙ্কা রয়েছে, তা ঠেকাতেই তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন।
ঘোষণায় বেশ কিছু অঙ্গীকারও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের নির্বাচন প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি Innovation Hub প্রতিষ্ঠা ও Central Lab আধুনিকায়ন, পূর্ণাঙ্গ TSCC বাস্তবায়ন ও সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনগুলোকে এর আওতায় আনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
প্যানেলের মিডিয়া ও প্রচারণা সম্পাদক শাহরিয়ার মোর্শেদ খান বলেন, ‘আমাদের প্যানেল গতানুগতিক ধারার বাইরে। ভিপি, জিএস বা এজিএস পদে কাউকে মনোনয়ন দিইনি। কারণ এই পদগুলোতে উপযুক্ত কাউকে পাইনি। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের নির্বাচিত করে, তবে আমরা তাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরব। ইশতেহারে বিশ্বাস নয়, আমরা কাজে বিশ্বাসী।’