৫৬ দিনে ৩৮৪ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ কোটি টাকা জরিমানা

4 hours ago 5

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় সারাদেশে ২ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দীর্ঘ এ অভিযানে ৩৮৪ ইটভাটা বন্ধ ও ১৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সারাদেশে ২ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ৫৬ দিনে ৫২০ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ হাজার ২৪৫টি মামলা করা হয় এবং ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে ২৪৯টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৩৫টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩৫টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়টি ট্রাকভর্তি সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

৫৬ দিনে ৩৮৪ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ কোটি টাকা জরিমানা

নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে ৩ নভেম্বর থেকে সারাদেশে ৩৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এতে ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ১৫৮ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং ১১টি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে।

আজ বাগেরহাট, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে আটটি মামলায় ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ চারটি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আরও পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগরের আদাবর ও কদমতলী এলাকায় নির্মাণসামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এতে ৪ মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়া গাজীপুরের নাওজোর ও সালনা হাইওয়ে থানার পৃথক অভিযানে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ২২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। দুটি ট্রাক জব্দসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরএএস/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article