আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রক্রিয়ায় ২০০১ সালের সীমানা ফিরিয়ে আনার দাবিকে ঘিরে আসা বেশি আবেদন যাচাই করছে কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে ৪১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় অধিকাংশ আবেদনেই ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। এখনও চূড়ান্ত করেনি ইসি। শহরাঞ্চলের আসন কমে গ্রামে বাড়তে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু আসনের সীমানায় পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
কীসের ভিত্তিতে সীমানা বদল করা হবে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সীমানা বদলের বিষয়টি খসড়া পর্যায়ে আছে। এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত না হওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না। সীমানা বদলের জন্য বেশ কিছু আবেদনও ইসিতে জমা পড়েছে। বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত হয়নি এটা খসড়া পর্যায়ে আছে।
ইসি জানায়, পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভাণ্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনের জন্য জমা পড়েছে সর্বোচ্চ ১০৩টি আবেদন। এরপর রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসন, যার জন্য জমা পড়েছে ৯২টি আবেদন। এছাড়া মানিকগঞ্জে একটি নতুন আসনের দাবিতে ৩৮টি এবং চাঁদপুরে অতিরিক্ত একটি আসনের দাবিতে ৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন
- দুদকের চিঠিতে হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রক্রিয়া শুরু
- জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব: আলী রীয়াজ
সম্প্রতি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির পর ইসি সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় জনগণের আবেদন, সর্বশেষ আদমশুমারি এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক ঐক্যতানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
৬৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন পড়েছে। আসনগুলো হলো, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, রংপুর-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১ ও ২, কিশোরগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৩, মুন্সিগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ৭ ও ১২, গাজীপুর-৩ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, শরিয়তপুর-২, সিলেট-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০, চাঁদপুর-১ থেকে ৫, ফেনী-২ ও ৩, নোয়াখালী-১ থেকে ৪, চট্টগ্রাম-৪, ৫, ৭ ও ৮, গাইবান্ধা-৩, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, যশোর-২, ঝালকাঠি-২ এবং বরিশাল-৩।
এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস