৭ কোটি টাকার সেতুর কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর কাচরার খালের ওপর নির্মিত প্রায় ৭ কোটি টাকার একটি সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উধাও হয়েছেন ঠিকাদার। প্রায় এক বছর ধরে সেতুর মূল কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকলেও নেই সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য কাজ। ফলে সেতুটি ব্যবহার করতে না পেরে ক্ষুব্ধ শাহজাহানপুর, আলাতুলী ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। জানা যায়, তিনটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাচরার খালের ওপর ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরে যায়। আনারুল ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেতুর নিচের পথও জলাবদ্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই প্রতিদিন ৬০ মিটার পথ পাড়ি দিতে ঘুরতে হয় প্রায় ১০ কিলোমিটার। বহুবার এলজিইডি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি তাদের। পথচারীদের অভিযোগ, এক

৭ কোটি টাকার সেতুর কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর কাচরার খালের ওপর নির্মিত প্রায় ৭ কোটি টাকার একটি সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উধাও হয়েছেন ঠিকাদার। প্রায় এক বছর ধরে সেতুর মূল কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকলেও নেই সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য কাজ। ফলে সেতুটি ব্যবহার করতে না পেরে ক্ষুব্ধ শাহজাহানপুর, আলাতুলী ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

জানা যায়, তিনটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাচরার খালের ওপর ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরে যায়।

আনারুল ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেতুর নিচের পথও জলাবদ্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই প্রতিদিন ৬০ মিটার পথ পাড়ি দিতে ঘুরতে হয় প্রায় ১০ কিলোমিটার। বহুবার এলজিইডি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি তাদের।

৭ কোটি টাকার সেতুর কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

পথচারীদের অভিযোগ, এক বছর ধরে সেতুর বাকি কাজ বন্ধ। ঠিকাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুষ্ক মৌসুমে যেনতেনভাবে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে মুঠোফোনে তিনি জানান, জমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

৭ কোটি টাকার সেতুর কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

এদিকে জেলা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম জানান, অচিরেই সেতুর বাকি কাজ শুরু হবে। সংযোগ সড়কসহ অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের কাজ শেষের নির্ধারিত সময় ছিল চলতি বছরের ৬ মার্চ। পরে সময় বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোহান মাহমুদ/এফএ/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow