১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত জরিমানা আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ)। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামির সাজা নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে মামলাটি পরিচালনা করেছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ভুক্তভোগী শিশুকে পাশ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলে। আসামির কথামতো ভিকটিম সিগারেট ও শ্যাম্পু আনলে আসামি তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুরের করেরগাঁও মোবারকের বাড়ির পাশে ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভিকটিমকে ধর্ষণের ফলে তার যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ এবং মারাত্মক রক্তাক্ত হয়। ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এই ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. হামিদুল ইসলাম একই বছরের ১৬ নভেম্বর শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।
এমআইএন/এএমএ/জেআইএম