বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। এরপর ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা অনুযায়ী অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সেই জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সপ্টেম্বের) বিকেলে খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না, মাথায় দেয়? কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারেন না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আছে, নাকি বিপক্ষে আছে, যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে তাহলে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায়, তাহলে আমরা মেনে নেবো।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ফেরিঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড় ও সঙ্গীতার সামনে দিয়ে শিববাড়ি (শহীদ মীর মুগ্ধ) মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
আরিফুর রহমান/এসএএইচ