পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আটটি মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট (এসসি) শুনানি শেষে এ রায় দেন।
মামলাগুলো পাকিস্তানে ‘৯ মে-র মামলা’ নামে পরিচিত। ২০২৩ সালের ওই দিন ইমরান খানের সমর্থকরা দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেন। তার মুক্তির দাবিতে ওই দিন সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনাও ঘটে। শেষমেশ সংঘর্ষ রক্তপাতে গড়ায়। সেনাবাহিনীর কড়া অবস্থানে আন্দোলন স্থগিত করতে বাধ্য হয় পিটিআই।
জিওটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে বিচারপতি হাসান আজহার রিজভী এবং বিচারপতি মুহাম্মদ শফির সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ লাহোর হাইকোর্ট কর্তৃক জামিন প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার আবেদনের শুনানি করে এই রায় ঘোষণা করেন।
জুন মাসে লাহোর হাইকোর্ট ৯ মে দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত পৃথক মামলায় কারাবন্দী প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। যার মধ্যে লাহোরের জিন্নাহ হাউসে হামলাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে ইমরান খানের আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি সেই সময় ন্যাব হেফাজতে ছিলেন। তার পক্ষে সেই দাঙ্গায় অংশ নেওয়া অসম্ভব ছিল। পাশাপাশি প্রসিকিউশনের বিবৃতিতে বিরোধিতা থাকার কারণে মামলাটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল।
আজ শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি আফ্রিদি সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ সম্পর্কে প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভিকে জিজ্ঞাসা করেন। যার জবাবে বলা হয়, তিনজন সাক্ষী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন, ফটোগ্রামেটিক এবং ভয়েস ম্যাচিং পরীক্ষার প্রতিবেদনও যাচাই করা হচ্ছে। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। যার ফলশ্রুতিতে জামিনের আদেশ আসে।