অপরিকল্পিত আহরণে সমুদ্রের মাছ কমছে: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণের কারণে সমুদ্রে মাছের স্টক কমে যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে যেতে না পারা এবং উপকূলে মাছ কমে আসা- উভয়ই বর্তমানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তাই উপকূল ও গভীর সমুদ্রকে কেন্দ্র করে সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া জরুরি। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মেরিন ফিশারিজে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা রয়েছে, যা কাজে লাগাতে হবে। যে কোনো প্রকল্পের শেষ দিকে এসে এর ফলাফল জানা যায় বলে ভালো লাগে। তবে এ প্রকল্প শেষ হলেও কাজ শেষ নয়। এ বছর ২৮ নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সরকারের রেভিনিউ বাজেটের আওতায় এ কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংক আবারও সহযোগিতায় ফিরতে পারে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। নারী জেলেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে মাত্র ৪ শতাংশ নারী জেলে কার্ড পেয়েছেন- সংখ্যাটি কম হলেও এটি একটি ইতিবাচক সূচনা। সম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণের কারণে সমুদ্রে মাছের স্টক কমে যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে যেতে না পারা এবং উপকূলে মাছ কমে আসা- উভয়ই বর্তমানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তাই উপকূল ও গভীর সমুদ্রকে কেন্দ্র করে সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া জরুরি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মেরিন ফিশারিজে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা রয়েছে, যা কাজে লাগাতে হবে। যে কোনো প্রকল্পের শেষ দিকে এসে এর ফলাফল জানা যায় বলে ভালো লাগে। তবে এ প্রকল্প শেষ হলেও কাজ শেষ নয়। এ বছর ২৮ নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সরকারের রেভিনিউ বাজেটের আওতায় এ কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংক আবারও সহযোগিতায় ফিরতে পারে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নারী জেলেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে মাত্র ৪ শতাংশ নারী জেলে কার্ড পেয়েছেন- সংখ্যাটি কম হলেও এটি একটি ইতিবাচক সূচনা। সমাজে নারীদের কাজের যথাযথ স্বীকৃতি এখনো পাওয়া যায় না; বিভিন্ন ফোরামে সেই স্বীকৃতি আদায়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি তাদের অন্যান্য সেক্টরে সম্পৃক্ত করাও জরুরি।
সমুদ্র সম্পদের অজানা সম্ভাবনার দিকেও তিনি দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, অনেক মাছের প্রজাতি এখনো শনাক্ত করা যায়নি, ডিপ সি ফিশিং পুরোপুরি শুরু হয়নি। এরইমধ্যে পরিচালিত বিভিন্ন জরিপে মাছের স্টক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
কপ-৩০ সম্মেলনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন মেরিন ফিশারিজের বড় প্রভাবক। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ফোরামের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/এএমএ
What's Your Reaction?