আরএনবির শীর্ষ দুই পদে ‘সমঝোতার’ রদবদল!
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) শীর্ষ দুই পদে রদবদল করা হয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ডেন্ট মো. আশাবুল ইসলামকে পশ্চিমাঞ্চলে এবং পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলামকে পূর্বাঞ্চলে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রেলওয়ের পার্সোনাল-০১ শাখার উপপরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসা স্বাক্ষরিত এক দপ্তরাদেশের মাধ্যমে এই বদলি করা হয়। মাত্র এক বছরের মাথায় তাদের আবারও স্থানান্তর করা হলো। এদিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার বদলি অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছর ২৭ আগস্ট তাদের স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ২০২১ সালেও তাদের একইভাবে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি অনেকটা ‘সমঝোতার’ বদলি হিসেবেই দেখছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে রেলওয়ের ১৮৫ সিপাহি নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন জহিরুল ইসলাম। পরে আরএনবিতে বদলি বাণিজ্য, র্যাঙ্ক বাণিজ্য, আরএনবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করা, এক রাতেই নিজের বদলি ঠেকানোসহ নানা কাণ্ডে একের পর বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জহিরুল। আরএনবি পূর্বাঞ্চলের প্রধান
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) শীর্ষ দুই পদে রদবদল করা হয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ডেন্ট মো. আশাবুল ইসলামকে পশ্চিমাঞ্চলে এবং পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলামকে পূর্বাঞ্চলে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রেলওয়ের পার্সোনাল-০১ শাখার উপপরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসা স্বাক্ষরিত এক দপ্তরাদেশের মাধ্যমে এই বদলি করা হয়। মাত্র এক বছরের মাথায় তাদের আবারও স্থানান্তর করা হলো।
এদিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার বদলি অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছর ২৭ আগস্ট তাদের স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ২০২১ সালেও তাদের একইভাবে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি অনেকটা ‘সমঝোতার’ বদলি হিসেবেই দেখছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে রেলওয়ের ১৮৫ সিপাহি নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন জহিরুল ইসলাম। পরে আরএনবিতে বদলি বাণিজ্য, র্যাঙ্ক বাণিজ্য, আরএনবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করা, এক রাতেই নিজের বদলি ঠেকানোসহ নানা কাণ্ডে একের পর বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জহিরুল। আরএনবি পূর্বাঞ্চলের প্রধান জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজী জিন্নাতুল নাহারের প্রায় সোয়া চার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যখন চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুলের সম্পদের পাহাড়ের খোঁজ চালাচ্ছে দুদক। ঠিক তখনই বাহিনীর প্রধান জহিরুলের একের পর বিতর্কিত কাণ্ড ঘিরে ইমেজ সংকটের মুখে পড়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। পূর্বাঞ্চলে ফিরে আসায় ফের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম ১৯৯০ সালে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম টাইপিস্ট পদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) যোগদান করেন। ২০০০ সালে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণি পদে পদোন্নতি পান। ২০০২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিসিএস নন-ক্যাডারে (২১তম ব্যাচ) সহকারী কমান্ড্যান্ট পদে, ২০০৬ সালে কমান্ড্যান্ট এবং ২০২০ সালে চিফ কমান্ড্যান্ট পদে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। জহিরুল ইসলামের স্ত্রী কাজী জিন্নাতুল নাহার বর্তমানে একজন গৃহিণী।
এর আগে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাতাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদে ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে চলে যান।
নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরএনবি প্রধান জহিরুল ইসলাম একে পর এক দুদকের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববন্টন, বিতর্কিতদের ইউনিট প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে ইউনিট সাজানো, ডিউটি পালন না করেই ভুয়া বিল বানানো, ব্যাচ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্যসহ, কারাখানা ভিত্তিক চোর চক্রের নিয়ন্ত্রণসহ নানা কুর্কীতির ঘটনা যখনই ঘটছে তখনই উঠে আসছে আরএনবির সদস্যদের নাম।
বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন কালবেলাকে বলেন, আমি বদলির বিষয়টি শুনেছি৷ তবে আদেশের কপি এখনো পাইনি।
What's Your Reaction?