একাই ৪শ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিলেন প্রধান শিক্ষক
নোয়াখালীর হাতিয়ায় সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা অফিসকক্ষে অবস্থান করছেন। আর পুরো পরীক্ষার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এতে পরীক্ষায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক শিডিউল করে ৫টি শ্রেণির চার শতাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেন। পর্যবেক্ষণহীন পরীক্ষাকক্ষে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলা, খাতা দেখে লেখা ও বিশৃঙ্খলা করতে থাকে। এতে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধান শিক্ষককে হিমশিম খেতে হয়। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, একজন শিক্ষক দিয়ে ৫টি ক্লাসের পরীক্ষা নেওয়ায় পরীক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎও ঝুঁকিতে পড়ছে। সহকারী শিক্ষকরা জানায়, ১১তম গ্রেড, পদোন্নতি এবং তিন দফা দাবি না মানায় তারা সারাদেশে কর্মবিরতিতে আছেন। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন। চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা হক বলেন, সহকারী শিক্ষক
নোয়াখালীর হাতিয়ায় সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা অফিসকক্ষে অবস্থান করছেন। আর পুরো পরীক্ষার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এতে পরীক্ষায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক শিডিউল করে ৫টি শ্রেণির চার শতাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেন। পর্যবেক্ষণহীন পরীক্ষাকক্ষে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলা, খাতা দেখে লেখা ও বিশৃঙ্খলা করতে থাকে। এতে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধান শিক্ষককে হিমশিম খেতে হয়।
এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, একজন শিক্ষক দিয়ে ৫টি ক্লাসের পরীক্ষা নেওয়ায় পরীক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎও ঝুঁকিতে পড়ছে।
সহকারী শিক্ষকরা জানায়, ১১তম গ্রেড, পদোন্নতি এবং তিন দফা দাবি না মানায় তারা সারাদেশে কর্মবিরতিতে আছেন। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন।
চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা হক বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। ডিপিও, এডিপিও এবং এটিও স্যারেরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার জবাবদিহিতার জায়গা থেকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয় সেই দিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীর সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, হাতিয়ায় ২২৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৯টি বিদ্যালয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি নিজেও একটি বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছি। অন্য বিদ্যালয়ের পরীক্ষার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?