‘এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়’

  বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখনো নানা বাধার সম্মুখীন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেছেন, এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে অন্তত তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সারা হোসেন ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ: ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ শীর্ষক একটি সেশনে অংশ নেন। এসময় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর যে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে সিজিএস ও ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ‘ট্রায়ালওয়াচ ইনিশিয়েটিভ’ যৌথভাবে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এক বছর আগেও কোনো সোনালি যুগে ছিলাম না। বরং আমরা বের হয়ে এসেছি গভীর অন্ধকারের সময় থেকে। এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে অন্তত তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়। এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ।’ সারা হোসেন আদালত ও পুলিশি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানান, সিআরপিসি

‘এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়’

 

বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখনো নানা বাধার সম্মুখীন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেছেন, এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে অন্তত তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারা হোসেন ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ: ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ শীর্ষক একটি সেশনে অংশ নেন। এসময় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর যে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে সিজিএস ও ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ‘ট্রায়ালওয়াচ ইনিশিয়েটিভ’ যৌথভাবে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এক বছর আগেও কোনো সোনালি যুগে ছিলাম না। বরং আমরা বের হয়ে এসেছি গভীর অন্ধকারের সময় থেকে। এখন হয়তো সোনালি যুগ নয়, তবে অন্তত তুলনামূলকভাবে কম অন্ধকারের সময়। এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ।’

সারা হোসেন আদালত ও পুলিশি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানান, সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) সংশোধন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার অন্তর্ভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তবে বাস্তব প্রয়োগে এখনো ঘাটতি রয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক কাজ বাকি। অতীতে পুলিশের আচরণের জন্য জবাবদিহির উদ্যোগও শুরু হয়েছে এবং সাংবাদিক গ্রেফতার প্রবণতাও কিছুটা কমেছে। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় এখনো অনেক জায়গায় মিশ্র চিত্র দেখা যাচ্ছে।

শহিদুল আলমের মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাতিল হওয়া আইনে সাত বছর মামলা ঝুলে থাকা, রাষ্ট্র কতটা প্রতিহিংসামূলক হতে পারে এটা তারই উদাহরণ। এছাড়া, বিদেশ যাত্রা, প্রশাসনিক হয়রানি, ট্যাক্স ফাইল ও বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে আরও হয়রানি চালানো হয়েছে।

সারা হোসেন জানান, এখনো কিছু সাংবাদিক দীর্ঘ সময় ধরে আটক রয়েছেন মত প্রকাশ-সংক্রান্ত মামলায়। এগুলো শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ), ডিএসএ বা আইসিটির কারণে নয়, বরং সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ বিভিন্ন আইনের কারণে।

তিনি প্রশ্ন তুলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কতটা রক্ষিত? কোনো আইন এখনো বাধা হিসেবে আছে? আদালত কি নতুন প্রেক্ষাপটে সাহসী হতে পারছে? পুলিশ কি আগের চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে? আর যদি না পারে, তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা কি কার্যকর?’

জেপিআই/একিউএফ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow